সাংসদ কঙ্গনা রানাউত।
শেষ আপডেট: 25th July 2024 08:07
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কঙ্গনা রানাউত মানেই বিতর্ক। তিনি যেখানেই যান, সেখানেই কিছু না কিছু সমস্যা তৈরি হয় তাঁর বেফাঁস মন্তব্যের জন্য। এবার ফের বিতর্কে জড়ালেন কঙ্গনা। তবে এবার তাঁর কোনও মন্তব্য এই বিতর্কের কারণ নয়। তিনি কিছুই করেননি। তবু তাঁর দিকেই এল গুরুতর সমস্যার তির। সংশয় তৈরি হল তাঁর সাংসদ পদ নিয়ে।
সাম্প্রতিক লোকসভা নির্বাচনে হিমাচল প্রদেশের মান্ডি থেকে জিতে বিজেপির সাংসদ হয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত। এবার সেই জয় নিয়েই পেলেন হিমাচল প্রদেশ হাইকোর্টের নোটিস! তবে কি সাংসদ পদ খোয়াতে চলেছেন কঙ্গনা, শুরু হয়েছে সেই নিয়ে জল্পনা।
জানা গেছে, হিমাচলের কিন্নর জেলার এক বাসিন্দা, লায়করাম নেগি কঙ্গনার নির্বাচন বাতিল করার আবেদন করেছেন আদালতে। তাঁর অভিযোগ, তিনি মান্ডি আসন থেকেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চেয়েছিলেন লোকসভা নির্বাচনে, কিন্তু তাঁর মনোনয়নপত্র 'অন্যায়ভাবে' প্রত্যাখ্যান করা হয়েছিল। সেই কারণেই তিনি দাবি করেছেন, কঙ্গনার নির্বাচনও বাতিল করা হোক। আদালত তাঁর কথা শোনার পরে কঙ্গনাকে নোটিস পাঠিয়েছে এই বিষয়ে। বিচারপতি জ্যোৎস্না রাওয়াল ২১ অগস্টের মধ্যে কঙ্গনাকে জবাব দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
সূত্রের খবর, কঙ্গনার নির্বাচন বাতিলের আবেদনকারী লায়করাম নেগি হিমাচল প্রদেশ বন বিভাগের কর্মী ছিলেন। সময়ের আগেই স্বেচ্ছায় অবসর নিয়ে অর্থাৎ ভিআরএস নিয়ে ভোটে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন তিনি। তাঁর দাবি, রিটার্নিং অফিসার তথা জেলাশাসকের কাছে তিনি মনোনয়নপত্র জমা দেন। সেই সঙ্গে, নিয়ম অনুযায়ী, বন বিভাগের জারি করা একটি ‘নো ডিউ সার্টিফিকেট’-ও জমা দেন। এর পর তাঁকে বিদ্যুৎ, জল ও টেলিফোন বিভাগের ‘নো ডিউ সার্টিফিকেট’-ও দাখিল করতে বলেছিলেন রিটার্নিং অফিসার। সে সবও তিনি মাত্র একদিনের মধ্যে জোগাড় করে জমা দিয়েছিলেন। তাঁর অভিযোগ, এত কিছুর পরেও রিটার্নিং অফিসার সেগুলি গ্রহণ করেননি। বরং, তাঁর মনোনয়নপত্রটি বাতিল করে দেন।
প্রসঙ্গত, মান্ডি লোকসভা আসনে থেকে ৭৪ হাজার ৭৫৫ ভোটে জয়ী হন কঙ্গনা রানাওয়াত। তবে এই আসন থেকেই লড়তে চেয়েছিলেন কিন্নরের বাসিন্দা, লায়ক রাম নেগিও। জেলাশাসক তাঁর মনোনয়নপত্র প্রত্যাখ্যান করায় তা হয়ে ওঠেনি। এখন হাইকোর্টে নেগির আবেদন, তাঁর মনোনয়নপত্র গ্রহণ করা হলে, তিনি নির্বাচনে জিততেও পারতেন। তাই, কঙ্গনার নির্বাচন বাতিল করার দাবি তুলেছেন তিনি।