শেষ আপডেট: 17th February 2024 23:48
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ছেলে ও সাংসদ নকুলনাথকে নিয়ে শনিবার সন্ধেয় দিল্লি পৌঁছে গেছেন মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথ। সপুত্র তিনি বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন এমন সম্ভাবনা নিয়ে দিনভর সরগরম ছিল রাজ্য-রাজনীতি। বর্ষীয়ান নেতার ছেলে শনিবার সকালে এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে ‘কংগ্রেস’ পরিচয় মুছে দেওয়ার পর থেকেই জল্পনা শুরু হয়েছে। তার মধ্যে ছেলে নকুলনাথকে নিয়ে দিল্লি যাত্রা করায় অনেকেই দুয়ে দুয়ে চার করতে শুরু করেছিলেন। তবে দিল্লি পৌঁছে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে কমলনাথ বলেন, “এই রকম কিছু ঘটলে আপনাদেরই সবার আগে জানাব।”
কমলনাথের ছেলে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে নিজের কংগ্রেসি পরিচয় মুছে ফেলার পর থেকেই জল্পনা শুরু হয়। এর পরই দিল্লিতে এসে পৌঁছন কমলনাথ। তবে নেহাত গুজব বলে বিজেপিতে যোগদানের জল্পনায় একেবারে জল ঢেলে দেননি বর্ষীয়ান নেতা। বরং তিনি বলেছেন, "এত উত্তেজনার কী আছে? এখানে অস্বীকারের কিছু নেই। কিছু ঘটলে অবশ্যই আপনাদের জানাব।"
চলতি সপ্তাহেই কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অশোক চহ্বাণ। এ বার সপুত্র কমলও সেই পথ অনুসরণ করতে পারেন বলে জল্পনা শুরু হয়েছে। গত এক সপ্তাহে মধ্যপ্রদেশে দীনেশ আহিরওয়ার, রাকেশ কাটারের মতো প্রভাবশালী নেতারা সব দল ছেড়েছেন। শোনা যাচ্ছে, দলের বেশ কিছু সিদ্ধান্তে নাকি অসন্তুষ্ট কমলনাথ। সূত্রের খবর, কমলনাথ রাজ্যসভায় প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু কংগ্রেস তাকে টিকিট দেয়নি। কংগ্রেস অশোক সিংকে রাজ্যসভার প্রার্থী করেছে। গত বছর বিধানসভা নির্বাচনে মধ্যপ্রদেশে দলের হারের জন্য কমলনাথকেই কাঠগড়ায় তুলেছিলেন অলোক শর্মা। এর পর, চলতি সপ্তাহেই মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেসে ভাঙন শুরু হয়। প্রাক্তন বিধায়করা একে একে ইস্তফা দিতে থাকে। এর পরই কমলনাথ এবং নকুলনাথকে নিয়ে জল্পনা শুরু হয়।
প্রবীণ কংগ্রেস নেতা তথা কমলনাথের ঘনিষ্ঠ সহযোগী সজ্জন সিং ভার্মা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, দলের কিছু সিদ্ধান্তে দুঃখ পেয়েছেন কমলনাথ। প্রবীণ নেতাদের সঙ্গে দেখা করতে দিল্লি গিয়েছেন তিনি। এদিকে, প্রবীণ কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিং কমলনাথের বিজেপিতে যোগদানের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “যে ব্যক্তি নেহরু-গান্ধী পরিবারের হাত ধরে রাজনৈতিক কেরিয়ার শুরু করেছিলেন,সবসময় দলের পাশে থেকেছেন, তিনি কংগ্রেস ছেড়ে দেবেন, এটা কী করে আশা করা যায়?”