কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও স্পিকার ওম বিড়লা
শেষ আপডেট: 10th November 2024 11:43
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বিরোধীদের কোনও কথা শোনা হচ্ছে না বলে আগেই বৈঠক বয়কটের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছিলেন। ফের ওয়াকফ নিয়ে শুরু হওয়া সংসদের জেপিসি (জয়েন্ট পার্লামেন্টারি কমিটি) মিটিং নিয়ে প্রশ্ন তুলে স্পিকার ওম বিড়লাকে ইমেল পাঠালেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সরাসরি প্রশ্ন তুললেন, প্রশ্ন তুললেন, যেখানে ৩১ জন সদস্য আছে কমিটিতে। সেখানে মাত্র পাঁচজনকে নিয়ে কীভাবে হল বৈঠক?
শনিবার লোকসভার স্পিকারকে পাঠানো ওই চিঠিতে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, ‘আমরা বিরোধী দলের সদস্যরা জেপিসি’র চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলেছিলাম। গত ৫ নভেম্বর আপনার সঙ্গে দেখা করেছিলাম। আমাদের কথা শুনে আপনি আমাদের বক্তব্যের সঙ্গে সহমত পোষণ করেন। আমরা ভেবেছিলাম, ৯ তারিখের সফর বাতিল হবে। কিন্তু অবাক হয়ে দেখলাম, সফর তো বাতিল হয়নি, বরং মাত্র পাঁচজন সদস্যের দল নিয়ে গুয়াহাটিতে বৈঠক হল!’
সরাসরি জেপিসি’র চেয়ারম্যান জগদম্বিকা পালের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদের দাবি, চেয়ারম্যানের এই অসংবেদনশীল আচরণ সংসদীয় কমিটির কার্যক্রমকে উপহাসে পরিণত করেছে। এটা সাংবিধানিক নীতিরও বিরোধী। তবে লোকসভার অভিভাবক হিসাবে ওম বিড়লাকে বিষয়টিতে নজর দিতে অনুরোধ করেছেন কল্যাণ।
গত বৃহস্পতিবারই বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’ অন্তর্ভুক্ত দলগুলি ওয়াকফ বিল নিয়ে গঠিত সংসদীয় যৌথ কমিটির পাঁচ রাজ্যের সফর নিয়ে বয়কটের সিদ্ধান্ত নেয়। কলকাতা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করে সে কথা ঘোষণা করেছেন ওয়াকফ জেপিসির অন্যতম সদস্য তথা শ্রীরামপুরের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার গুয়াহাটি থেকে সফর শুরু করেছে জেপিসি। এই তালিকায় কলকাতা, ভুবনেশ্বর, পাটনা এবং লখনউ রয়েছে। শনিবার ইমেল করে সেই সফরের বিরোধীতা করলেন তিনি।
কল্যাণ আগেই অভিযোগ তোলেন, ১৩ নভেম্বর রাজ্যে উপ নির্বাচন। একথা জানানোর পরও জেপিসির বৈঠক পিছানো হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে বৈঠক বয়কটের সিদ্ধান্ত। সম্প্রতি জেপিসির মিটিংয়ে গোলমালে জড়িয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। গোলমালের মধ্যে কাচের বোতল ভেঙে সেই কাচের টুকরোয় কল্যাণ জখমও হয়েছিলেন। ঘটনায় একদিনের জন্য কল্যাণকে সাসপেন্ডও করেছিলেন জেপিসি কমিটির চেয়ারম্যান। সেই থেকে চেয়ারম্যান জগদম্বিকা পালের সঙ্গে বিরোধ চলছে। কিন্তু ওয়াকফ বিল নিয়ে কবে রফাসূত্র বেরোয় সেদিকে নজর থাকবে।