শেষ আপডেট: 29th October 2024 17:07
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ভাঙা জলের বোতলে হাত কেটে ফেলা তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় মঙ্গলবার বিজেপি এমপি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অকথ্য ভাষা প্রয়োগের অভিযোগ তুললেন। গত মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর দিল্লিতে ওয়াকফ সংশোধনী বিল নিয়ে গঠিত ২১ সদস্যের যৌথ সংসদীয় কমিটির বৈঠকে বচসা থেকে রক্তারক্তি কাণ্ড ঘটে যায়। সেপ্টেম্বরে মুম্বইয়ে এক বৈঠকেও বাগযুদ্ধ বেধেছিল। এমনকী সেখানেও কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জড়িত ছিলেন।
এদিন গত বৈঠকের প্রসঙ্গে শ্রীরামপুরের সংসদ সদস্য বলেন, বৈঠকের চেয়ারম্যান বিজেপি নেতা জগদম্বিকা পালকে লক্ষ্য করে জলের বোতল ছোড়ার কোনও অভিপ্রায় তাঁর ছিল না। সেদিনের ওই ঘটনার পর একদিনের জন্য কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে সাসপেন্ড করেন কমিটির চেয়ারম্যান। এদিন আগের দিনের বৈঠকে তাঁর রেগে যাওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করেন কল্যাণ। একইসঙ্গে তিনি আত্মপক্ষ সমর্থন করে বলতে চান যে, সেদিন কমিটির চেয়ারপার্সন, বিজেপির এমপি জগদম্বিকা পালকে লক্ষ্য করে জলের বোতল ছোড়েননি।
কল্যাণ বলেন, আরেকদিনের বৈঠকে আমি বলে দিয়েছি, চেয়ারপার্সনকে তাক করা আমার উদ্দেশ্য ছিল না। আমি ওই ঘটনার জন্য দুঃখিত। এরপরেই তৃণমূল নেতার অভিযোগ, তাঁকে এরকম কাজে প্ররোচনা দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি তথা বিজেপির এমপি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কল্যাণের জবানিতে যখন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলতে ওঠেন, আমি তাঁর বিরোধিতা করি। কারণ তিনি অহেতুক আমার এবং আমার পরিবার সম্পর্কে কুকথা বলে চলছিলেন। আমি তার প্রতিক্রিয়ায় তাঁকে নিষেধ করি, তা সত্ত্বেও উনি অকথ্য ভাষায় আমাদের গালিগালাজ করছিলেন, অভিযোগ বহু বিতর্কিত তৃণমূল লোকসভা সদস্য।
যৌথ সংসদীয় কমিটির প্রধান জগদম্বিকার বিরুদ্ধে কল্যাণের অভিযোগ, উনি ওই অবস্থায় আমার সঙ্গে রূঢ় এবং গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রতি কোমল আচরণ দেখাচ্ছিলেন। তাতে আমার মন আরও ভেঙে যায়। যে লোকটি বিষয়টি উত্থাপন করল তাকে ভর্ৎসনা না করে আমাকে করা হল। তবে আমি সেদিন হতাশ হলেও বিরক্ত হইনি। তখন আমি বোতল ভেঙে নিজেকে জখম করে ফেলি। আমি যখন বোতলটি ছেড়ে দিই, তখন সেটা গড়িয়ে চেয়ারপার্সনের দিকে চলে গিয়েছিল, বলেন কল্যাণ।