শেষ আপডেট: 12th November 2024 19:14
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ভারতের ৫১তম প্রধান বিচারপতি পদে শপথ নিয়েছেন সঞ্জীব খান্না। দেশের নতুন প্রধান বিচারপতিকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। তার আগে রবিবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি পদ থেকে অবসর নিয়েছিলেন ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। তারপরই নতুন প্রধান বিচারপতি পেল দেশ। আগামী ছয় মাসের জন্য প্রধান বিচারপতি পদে থাকবেন সঞ্জীব। ২০২৫ সালের ১৩ মে তিনি অবসর নেবেন।
দিল্লির অত্যন্ত প্রতিষ্ঠিত আইনজীবী পরিবারের সদস্য সঞ্জীব খান্না। তাঁর বাবা ছিলেন দিল্লির হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি দেবরাজ খান্না। প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার কাকাও বিচারপতি ছিলেন। অনেকেই জানেন না, বিচারপতি হংসরাজ খান্নার সবথেকে জনপ্রিয় মামলা ছিল এডিএম জব্বলপুর বনাম শিবকান্ত শুক্লা মামলা।
দেশের জরুরি অবস্থার সময় সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চে সেই ঐতিহাসিক মামলা চলেছিল দীর্ঘদিন ধরে। তাতে চার বিচারপতি সহমত পোষণ করেছিলেন। একমাত্র ভিন্নমত পোষণ করেছিলেন বিচারপতি হংসরাজ খান্না। অবসর নেওয়ার আগে নিয়ম অনুযায়ী বিচারপতি সঞ্জীব খান্নাকে প্রধান বিচারপতি পদে বসার জন্য প্রস্তাব দিয়েছিলেন বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। সেইমতো দেশের প্রধান বিচারপতির চেয়ারে বসলেন বিচারপতি সঞ্জীব খান্না।
১৯৬০ সালের ১৪ মে জন্ম নেন বিচারপতি সঞ্জীব খান্না। ১৯৮৩ সাল থেকে নিজেই আইনি পেশা শুরু করেন। প্রথমে তিনি দিল্লি বার কাউন্সিলের আইনজীবী ছিলেন। সেখানে থাকাকালীন সাংবিধানিক আইন, বাণিজ্যিক আইন, ট্যাক্সেশন, অর্বিট্রেশন এবং পরিবেশ আইনে দক্ষ ছিলেন সঞ্জীব। তারপর ২০০৪ সালে দিল্লির ন্যাশনাল ক্যাপিটল টেরেটরির জন্য তাঁকে ওই পদে নিয়োগ করা হয়।
বিচারপতি থাকাকালীন তাঁর ঝুলিতে ছিল একাধিক গুরুত্বপূর্ণ রায়। সেগুলির মধ্যে অন্যতম হল, দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন। তারপরের রায় হল, কেন্দ্রের প্রস্তাবিত সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পের ছাড়পত্র। সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল, নির্বাচনী বন্ড অসাংবিধানিক। আর অবশেষে সঙ্গে ১০০ শতাংশ ভিভিপ্যাট স্লিপ মিলিয়ে দেখার মামলাও খারিজ করেছেন তিনি।
২০০৫ সালে সর্বপ্রথম দিল্লি হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত করা হয় সঞ্জীব খান্নাকে। তারপর ২০০৬ সালে তিন স্থায়ী বিচারপতি হন। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত হন ২০১৯ সালের ১৮ জানুয়ারি।