শেষ আপডেট: 12th November 2024 07:09
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আগামীকাল বুধবার ঝাড়খণ্ড বিধানসভার নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট গ্রহণ করা হবে। সোমবার বিকালে সরকারিভাবে প্রকাশ্য প্রচার শেষ হয়ে গিয়েছে। প্রচার শেষের সামান্য আগে দলের নির্বাচনী ইস্তাহার প্রকাশ করে শাসক জোটের প্রধান শরিব ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা জানিয়েছে, সরকার টিকে গেলে রাজ্যে সরকারি চাকরিকে মহিলাদের জন্য ৩৩ শতাংশ পদ সংরক্ষণ করা হবে। আগামী পাঁচ বছরে পাঁচ লাখ সরকারি চাকরি দেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে জেএমএম। আছে ২৫ লাখ তিন কামড়ার বাড়ি তৈরির প্রতিশ্রুতি।
এছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণার মধ্যে আছে ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের ঝণ মকুব, যা বাকি দলগুলিকে খানিক অস্বস্তিতে ফেলেছে। বিজেপি-সহ কম বেশি সব দলই কৃষকদের নানা সুবিধা দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন সাধারণ দোকানি, ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের ঋণ মকুবের ঘোষণা এই প্রথম।
জেএমএমের নেতৃত্বাধীন ‘ইন্ডি’ জোট আগেই সস্তায় খাদ্য সামগ্রী এবং গ্যাস সিলিন্ডার দেওয়ার কথা জানিয়েছিল। জোট বলেছে, তাদের সরকার মাসে সাড়ে চারশো টাকায় গ্যাস সিলিন্ডার দেবে।
মুখ্যমন্ত্রী তথা জেএমএমের কার্যনির্বাহী সভাপতি হেমন্ত সরেন সাংবাদিক বৈঠকে ইস্তাহারের ঘোষণাগুলি জানালেও সেটি প্রকাশ করেছেন দলের সভাপতি শিবু সরেন। বয়সজনিত কারণে তিনি সক্রিয় রাজনীতি থেকে অবসর নিয়েছেন।
প্রশ্ন হল, জেএমএম কেন প্রচার শেষের মুখে নির্বাচনী ইস্তাহার ঘোষণা করল। দলের এক নেতার কথায়, অনেক ভাবনাচিন্তা করেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে দল। বিশেষ কারণ হল বিজেপিকে জেএমএমের ঘোষণা নিয়ে পাল্টা প্রচারের সুযোগ না দেওয়া। অতীতে দেখা গিয়েছে বিজেপি নিজেদের ইস্তাহারের ঘোষণার তুলনায় বিরোধীদের প্রতিশ্রুতিকে বেশি আক্রমণ করে থাকে। সেই সুযোগ তারা এবার পেল না। অন্যদিকে, মিটিং-মিছিল করা না গেলেও আগামী দু’দিনে দলের কর্মী-সমর্থকেরা পার্টির ঘোষণার কথা মুখে মুখে মানুষের কাছে পৌছে দেবে। সেই ব্যবস্থাও তৈরি রাখা হয়েছে।
ঝাড়খণ্ডে বিজেপি এবার প্রধান ইস্যু করেছে অনুপ্রবেশকে। সোমবারও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রাজ্যে প্রচারে গিয়ে ঘোষণা করেছেন, বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা যে সব আদিবাসী মহিলাদের বিয়ে করে জমি দখল করেছে তাদের কাছ থেকে কতা কেড়ে নেওয়া হবে। বিজেপি ক্ষমতায় এলে এ জন্য আইন চালু করবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও বারে বারে অনুপ্রবেশের সমস্যার কথা বলেছেন। কিন্তু ঘোষণাপত্রে আদিবাসীদের জমির প্রসঙ্গটি এড়িয়ে গিয়েছে জেএমএম।
এই ব্যাপারে দলের এক শীর্ষ নেতা বলেন, আদিবাসীদের জমি বেহাত হওয়া ঠেকাতে জেএমএমের সরকার একাধিক ব্যবস্থা নিয়েছে। বিজেপি অনুপ্রবেশ নিয়ে মিথ্যা প্রচার করছে। জেএমএমের তরফে নতুন করে জমি রক্ষার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার অর্থ বিজেপির ফাঁদে পা দেওয়া।