শেষ আপডেট: 5 February 2024 09:07
দ্য ওয়াল ব্যুরো: জমি কেলেঙ্কারি মামলায় ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকে গ্রেফতার করেছে ইডি। ঠিক কেন তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের কাছে সেই জবাব চাইল ঝাড়খণ্ড আদালত। আগামী চারদিনের মধ্যে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে এবিষয়ে লিখিত আকারে জবাব দিতে হবে।
৩০ ঘণ্টা নিঁখোজ থাকার পর গত ৩১ জানুয়ারি ইডির হাতে গ্রেফতার হন হেমন্ত সোরেন। ওইদিন সন্ধ্যায় রাজভবনে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফাপত্র জমা দেওয়ার পরই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। ইডির গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ওইদিন রাতেই ঝাড়খণ্ড হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন হেমন্ত। যদিও পরে তা প্রত্যাহার করে সরাসরি সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছিলেন হেমন্ত। কিন্তু উচ্চ আদালতের সাংবিধানিক ক্ষমতায় হস্তক্ষেপ করবে না বলে জানিয়ে দেয় শীর্ষ আদালত। ফলে ফের ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টেই ফেরত আসে মামলা। সোমবার সংশ্লিষ্ট মামলাটিতে ইডির কাছে জবাব চেয়েছে উচ্চ আদালত। আগামী ৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ঝাড়খণ্ড আদালতে সেই রিপোর্ট দেবে ইডি।
ইডির বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগও করেছেন হেমন্ত। তফসিলি জাতি, জনজাতি আইনে মামলা দায়ের করেছেন তিনি। হেমন্তের অভিযোগ, ইডি তাঁর দিল্লির ফাঁকা বাড়ি থেকে যে বিএমডব্লিউ গাড়ি এবং নগদ টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে, তার মালিক তিনি নন। ইডি আদতে ‘ভুল তথ্য’ পেশ করছে বলে দাবি করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, হেমন্তের বিরুদ্ধে ৬০০ কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। যা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কয়েক দিন ধরেই তাঁকে খুঁজছিল ইডি। রবিবার শেষ বার দিল্লি বিমানবন্দরে নামতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। কিন্তু তারপর হেমন্তের দিল্লির বাড়িতে গিয়েও তাঁকে পাওয়া যায়নি। প্রায় ৩০ ঘণ্টা ‘নিখোঁজ’ থাকার পর বুধবার দুপুরে রাঁচিতে নিজের বাড়ির সামনে হেমন্ত সোরেনকে দেখা যায় । এরপরই তাঁর বাড়িতে ঢুকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে ইডি।
এদিকে গত শুক্রবার চম্পাই সোরেন মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ গ্রহণের পর রাজ্যপাল তাঁকে ১০ দিনের মধ্যে সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দিতে বলেছিলেন। সেই অনুযায়ী সোমবার বিধানসভায় আস্থাভোট হয়। ৪৭ জন বিধায়কের ভোট পেয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পান চম্পাই। এরপরই আস্থা ভোটে জয়ী হন ঝাড়খণ্ডের নয়া মুখ্যমন্ত্রী।