সম্প্রতি ঝাড়খণ্ড হাইকোর্ট জামিনে মুক্তি দেয় সোরেনকে।
শেষ আপডেট: 15 July 2024 11:56
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কংগ্রেসের প্রাক্তন সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীর পর সোমবার 'পরম শত্রু' প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। গত শনিবার দেখা করেন সনিয়ার সঙ্গে। স্ত্রী তথা বিধায়ক কল্পনা সোরেনকে নিয়ে কংগ্রেসের সংসদীয় দলের চেয়ারপার্সন তথা রাজ্যসভা সদস্য সনিয়ার বাড়ি ১০ জনপথে গিয়ে দেখা করেন হেমন্ত। এই সাক্ষাৎকে সৌজন্য সাক্ষাৎ বলেছিলেন সোরেন। এদিন মোদীর সঙ্গেও সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
সম্প্রতি ঝাড়খণ্ড হাইকোর্ট জামিনে মুক্তি দেয় সোরেনকে। তারপর ফের তিনি মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেন। সোমবার জামিনে মুক্তি ও পুনর্বার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীর কাছে গিয়ে দেখা করেন তিনি। নিজেই এক্স-এ একটি ছবি পোস্ট করে সোরেন লিখেছেন, নেহাতই সৌজন্য সাক্ষাৎ। কিন্তু, তাঁর এহেন সৌজন্য নিয়ে হাত গুটিয়ে বসে নেই রাজনৈতিক পরচর্চাকারীরা। রাজনৈতিক মহলের বিশ্লেষণ, তাহলে কি ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী দুই কুলোর বাতাস একসঙ্গে খেতে চাইছেন?
ঝাড়খণ্ডের আসন্ন বিধানসভা ভোট নিয়ে সনিয়ার সঙ্গে তাঁর মধ্যে কথা হয়েছে কিনা এ প্রশ্নের জবাবে সোরেন বলেছিলেন, ভোট নিয়ে কথাবার্তা চলছে। তবে সনিয়ার সঙ্গে ভোট নিয়ে আলোচনা হয়নি। তিনি আরও বলেন, এদেশের মানুষ অত্যন্ত সংবেদনশীল ও সহ্যশক্তি রয়েছে তাঁদের। যতক্ষণ পারা যায় সহ্য করে যাওয়ার পর ভোট দিয়ে বুঝিয়ে দেন, তাঁরা কী চান? বলা বাহুল্য সোরেনের তির ছিল সরাসরি মোদী নেতৃত্বাধীন বিজেপির দিকে।
माननीय प्रधानमंत्री श्री .@narendramodi जी से शिष्टाचार मुलाक़ात हुई। pic.twitter.com/jByrjWHsUw
— Hemant Soren (@HemantSorenJMM) July 15, 2024
হেমন্ত আশা করেন, শীঘ্রই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালও জামিন পেয়ে যাবেন। সংবিধান হত্যা দিবস প্রসঙ্গে জেএমএম নেতার মন্তব্য, একমাত্র বিজেপির লোকেরাই জানেন, তাঁরা কী বলছেন আর কী বলছেন না। ওরা যা ভেবে থাকে যে, মানুষকে টাকা দিয়ে কেনা যায়। তা হয় না। গণতন্ত্রের এটাই একটা সুন্দর বিষয় যে, লোক প্রথমে সহ্য করে, তারপর যখন অসহ্য হয়ে ওঠে তখন তার ফল সামনে আসে।
বিজেপি বিচারব্যবস্থাকে অপদস্থ করছে বলে অভিযোগ তুলে হেমন্ত বলেন, কিছুদিন ধরে দেশজুড়ে কী চলছে তা আপনারা সকলে দেখতে পাচ্ছেন। ওরা বিচার ব্যবস্থাকে হাস্যস্পদ করে তুলেছে। তারপরেই এদিন হাসিমুখে প্রধানমন্ত্রীকে পুষ্পস্তবক তুলে দিয়ে কী বার্তা দিতে চলেছেন জেএমএম নেতা। অনেকের মতে, কেন্দ্রের কাছে রাজ্যে দাবিদাওয়া নিয়ে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিকে, ঝাড়খণ্ডে জেএমএমের সঙ্গী রয়েছে কংগ্রেস এবং আরজেডি। বিধানসভা ভোটের আগে দল ভাঙানোর খেলায় শেষ কামড় দিতে পারে বিজেপি। এখন থেকে তলায় তলায় সেই তৎপরতা চলছে বলে শাসক জোটের অভিযোগ। তাই শনিবার কংগ্রেসকে শরিক হিসেবে ধরে রাখতে খোদ বকলমা দলনেত্রীর দরবারে হাজির হয়ে থাকতে পারেন ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার নেতা হেমন্ত।