শেষ আপডেট: 13th March 2025 12:49
দ্য ওয়াল ব্যুরো: হাতেগোনা মাত্র কিছু সময়ের অপেক্ষা। রাত পেরলেই দোল (Holi Festival)। দোল মানেই রং খেলা। আর রং মানেই আলাদা উন্মাদনা। দেশের প্রায় সব প্রান্তের মানুষেরাই বিশেষ দিনে নিজেদের রাঙিয়ে তোলেন। রং তো আছেই পাশাপাশি এই দিনে পিচকারির গুরুত্বও সমান গুরুত্বপূর্ণ। সঙ্গে রকমারি খাওয়াদাওয়া তো রয়েছেই।
রঙের উৎসবের আগে দেদারে বিক্রি হচ্ছে আবির, রকমারি রং ও পিচকিরি (Water Gun)। কিন্তু উৎসবের আগেই রীতিমতো তাক লাগিয়েছে উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ের (Lucknow) একটি গয়নার দোকান। সেখানে একটি রুপোর পিচকিরি ও দু'টো ছোট বালতি (Buckets) বিক্রি হয়েছে ১ লাখ টাকায়। হ্যাঁ, শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি।
বর্তমান প্রজন্মের কাছে পিচকারির গুরুত্ব কমলেও বনেদি বাড়িতে এখনও দোলের বিশেষ তিথিতে দেবতাকে পিচকারি, বালতি দিয়ে পুজো দেওয়ার রীতি রয়েছে। অনেক বাড়িতে দোল উৎসব অত্যন্ত জাঁকজমকভাবেই পালিত হয়। এছাড়া নববিবাহিতদের পরিবারের মধ্যেও দোলে রুপোর পিচকারি ও বালতি আদানপ্রদানের চল এখনও রয়েছে।
দোকান মালিক আদেশ কুমার জৈন বলেন, "এটি একটি পুরনো ঐতিহ্য। যেখানে নববিবাহিত দম্পতির পরিবারের মধ্যে এই পিচকারি উপহার দেওয়া হয়। মূলত মেয়ের পরিবার এটি ছেলের পরিবারকে শুভেচ্ছা জানাতে অঙ্গীকার উপহার দেয়। যার দাম প্রায় ৮০০০ টাকা থেকে শুরু করে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত..."
চলতি বছর একটু হলেও স্পেশ্যাল বলেই মনে করছেন দোকান মালিক। তিনি জানিয়েছেন, এমন কাজ এই প্রথম। পিচকারি ও বালতিগুলিকে অত্যন্ত নিখুঁতভাবে বানানো হয়েছে। পাশাপাশি বালতি ও পিচকারির গায়ে খোদাইয়ের কাজ যথেষ্ট জটিল ও সময়সাপেক্ষ বলেই জানিয়েছেন তিনি।
বিক্রির বিষয়ে আদেশ কুমার আরও বলেন, "দারুন সাড়া মিলেছে। এখনও পর্যন্ত লখনউতে কমপক্ষে ১,০০০ পিচকারি বিক্রি হয়েছে। যেহেতু আমরা পাইকারি ব্যবসা করি, তাই অনেক দোকানদার আমাদের কাছ থেকে পিচকারি কিনেছেন বিক্রি করার জন্য।" তিনি আরও জানান, আগামী বছরগুলিতে, এই পিচকারির ঐতিহ্য বিবাহিতদের কাছে আরও জনপ্রিয় হয়ে উঠবে।
অন্যদিকে, উত্তরপ্রদেশের গোন্ডার একটি মিষ্টির দোকানও 'গোল্ডেন গুজিয়া' তৈরি করা রীতিমতো সাড়া ফেলে দিয়েছে। এক্সক্লুসিভ মিষ্টির দাম রাখা হয়েছে প্রতি কেজি ৫০ হাজার টাকা এবং প্রতি পিস ১৩০০ টাকা।
দোকানের ম্যানেজার শিবকান্ত চতুর্বেদী জানিয়েছেন, গোল্ডেন গুজিয়ায় ২৪ ক্যারেট সোনার একটি স্তর এবং ড্রাই ফ্রুটস দিয়ে ঠাসা। যা মিষ্টির গুণগত মান আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।