শেষ আপডেট: 7th December 2024 11:20
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ২০ বছর পর ফের প্রকাশ্যে কুখ্যাত জঙ্গি জয়েশ-ই-মহম্মদের প্রধান মাসুদ আজহার। পাকিস্তানের মাটিতে দাঁড়িয়ে ফের ভারত-বিরোধী হুমকি দিয়েছেন মাসুদ। বাহাওয়ালপুরের একটি মসজিদে তাঁর উত্তেজক ভাষণের অধিকাংশটাই জুড়ে ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বাবরি মসজিদের প্রসঙ্গেও কড়া শোনান আন্তর্জাতিক নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জয়েশ প্রধান।
তাঁর সেই ভারত-বিরোধী ভাষণ নিয়ে বিদেশ মন্ত্রক পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দ্বিচারিতার অভিযোগ তুলেছে। বিদেশ মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানিয়েছেন, পাকিস্তান সবসময় বলে যাচ্ছে যে মাসুদ আজহার তাদের দেশে নেই। এই পরিস্থিতি মাসুদের ভাষণেই প্রমাণ হয় যে, ইসলামাবাদ গোড়া থেকেই ভারত-বিরোধী জঙ্গিপনা নিয়ে ভন্ডামি করে চলেছে।
মাসুদ খলিফা শাসনের অবসানের শতবর্ষপূর্তি উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানে ভাষণ দিচ্ছিলেন। গত ৩ ডিসেম্বর জয়েশের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে ভাষণটি প্রকাশিত হয়। সেই বক্তব্যে শোনা গিয়েছে, ভারতের মাটিতে একাধিক জঙ্গি হামলার নাটের গুরু মাসুদ মোদী এবং নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন। ভাষণে মাসুদ বলেছেন, আমি লজ্জিত যে মোদীর মতো একজন দুর্বল ব্যক্তি আমাদের চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন।
ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে ইঁদুরের সঙ্গে তুলনা করে বলেন, নেতানিয়াহু একটা ইঁদুরের মতো আমাদের কবরের উপরে নেচে বেড়াচ্ছে! আপনাদের মধ্যে মাত্র ৩০০ জন লোক নেই যারা আমাকে বাবরি মসজিদ ফিরিয়ে দিতে পারে? জয়েশ প্রধান সংগঠনকে ফের নতুন করে ভারত-বিরোধী জেহাদি হামলা-অভিযান চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন ওই ভাষণে।
একইসঙ্গে ইজরায়েলের বিরুদ্ধেও জয়েশ সদস্যদের রুখে দাঁড়ানোর ডাক দিয়েছেন মাসুদ। পৃথিবীতে ইসলামি শাসন জরুরি বলে হুঙ্কার ছেড়েছেন তিনি। বারবার তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, ভারত তোমার মৃত্যু এগিয়ে আসছে। জয়েশের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে ভাষণটি প্রকাশ হলেও তিনি এই কথা কবে, কখন, কোথায় বলেছেন তা উল্লেখ করা হয়নি। কিন্তু যেহেতু এই ভাষণে গাজা যুদ্ধের উল্লেখ রয়েছে, তাই গোয়েন্দাদের অনুমান অতি সম্প্রতি তিনি এই ভাষণ দিয়েছেন।
ভারতীয় গোয়েন্দা সূত্রের খবর, পাকিস্তানের বাহাওয়ালপুরে একটি মাদ্রাসা-মসজিদে মাসুদ এই ভাষণ দিয়েছেন। হাজার একর জমির উপর গঠিত এই মাদ্রাসা-মসজিদে দেওয়া ভাষণটি গত মাসের শেষের দিকে দেওয়া। এই জায়গাটি সেই একই জায়গা যা সম্পর্কে পাকিস্তান সরকার ২০১৯ সালে কবজা নেওয়ার দাবি জানিয়েছিল। কিন্তু, স্থানীয়দের কথায় এটা এখনও জয়েশের দখলে রয়েছে এবং চারধারে সশস্ত্র পাহারাদার দিয়ে ঘেরা সুরক্ষিত এলাকা। ২০২২ সালে তৎকালীন পাক বিদেশমন্ত্রী বিলাওল ভুট্টো জারদারি দাবি করেছিলেন, আজহার পাকিস্তান ছেড়ে পালিয়ে আফগানিস্তানে চলে গিয়েছেন।