পাক অধিকৃত কাশ্মীর (PoK) নিয়ে যখন রাজনৈতিক মহলে তীব্র আলোচনার আবহ, ঠিক সেই সময় ভারতের সেনা প্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদীর কাছে গুরুদক্ষিণায় পিওকে চাইলেন হিন্দু ধর্মগুরু জগৎগুরু রামভদ্রাচার্য।
রামভদ্রাচার্যের আশ্রমে
শেষ আপডেট: 29 May 2025 08:42
দ্য ওয়াল ব্যুরো: পাক অধিকৃত কাশ্মীর (PoK) নিয়ে জাতীয় রাজনীতিতে তীব্র আলোচনার আবহে মধ্যপ্রদেশের চিত্রকুটে ঘটল একটি তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। ভারতের সেনা প্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী বুধবার উপস্থিত হয়েছিলেন চিত্রকুটের জগৎগুরু রামভদ্রাচার্যের আশ্রমে, আশীর্বাদ নেওয়ার উদ্দেশ্যে। কিন্তু আশীর্বাদের সঙ্গে সঙ্গে গুরুদক্ষিণাও চাইলেন জগৎগুরু—আর সেই গুরুদক্ষিণা ছিল পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে ভারতের হাতে ফিরিয়ে আনার আহ্বান।
পাক অধিকৃত কাশ্মীর (PoK) নিয়ে যখন রাজনৈতিক মহলে তীব্র আলোচনার আবহ, ঠিক সেই সময় ভারতের সেনা প্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদীর কাছে গুরুদক্ষিণায় পিওকে চাইলেন হিন্দু ধর্মগুরু জগৎগুরু রামভদ্রাচার্য। বুধবার মধ্যপ্রদেশের চিত্রকুটে রামভদ্রাচার্যের আশ্রমে যান সেনা প্রধান।
সেখানে আচার্য উপেন্দ্রকে আর্শীবাদ দেওয়ার পাশাপাশি গুরুদক্ষিণা চেয়ে বলেন, ‘‘আমার গুরুদক্ষিণা হোক পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে ভারতের সঙ্গে পুনর্মিলিত করা।’’ এই ঘটনার কথা সর্বসমক্ষে জানান স্বয়ং জগৎগুরু রামভদ্রাচার্য। তিনি বলেন, লঙ্কায় যাওয়ার আগে হনুমান যেভাবে রামমন্ত্রে দীক্ষা পেয়েছিলেন, ঠিক তেমনই সেনাপ্রধানকেও তিনি সেই রামমন্ত্রে দীক্ষা দিয়েছেন।
তাঁর কথায়, “এই দীক্ষা শুধু আধ্যাত্মিক শক্তিরই নয়, এটা এক ধরনের আদর্শ ও ধর্মের পথে লড়াইয়ের শক্তি। আমি সেনাপ্রধানকে রামমন্ত্র দিয়েছি, যেমনটা হনুমান পেয়েছিলেন রামচন্দ্রের কাছ থেকে।” আশ্রমে সাধু-সন্ত ও ছাত্রদের সঙ্গে সেনাপ্রধানের মতবিনিময়ও হয়। তাঁদের সঙ্গে দেশরক্ষা, নৈতিকতা ও কর্তব্য নিয়ে কথা বলেন উপেন্দ্র দ্বিবেদী।
এই ঘটনার তাৎপর্য খুঁজে পাচ্ছেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা। কারণ, এই ঘটনার মাত্র ক’দিন আগেই জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগামে সন্ত্রাসবাদী হামলায় প্রাণ হারান ভারতীয় জওয়ানরা। এর প্রতিক্রিয়ায় ভারত চালু করেছে প্রতিরক্ষা প্রতিঘাত—‘অপারেশন সিঁদুর’। এই অভিযানের লক্ষ্য নিয়ে সরকার এখনও কিছু জানায়নি, তবে অনেকেই মনে করছেন পাক অধিকৃত কাশ্মীরের দিকেই এবার আরও সক্রিয় হতে পারে ভারত।
প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এর আগে স্পষ্ট বলেছেন, পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের আলোচনা একমাত্র সম্ভব সন্ত্রাসবাদ এবং পিওকে ফিরিয়ে আনার প্রশ্নে। জগৎগুরু রামভদ্রাচার্য শুধুমাত্র একজন আধ্যাত্মিক গুরু নন, তিনি একজন সংস্কৃত পণ্ডিত, দার্শনিক এবং বহু গ্রন্থের রচয়িতা। তাঁর সঙ্গে সেনাপ্রধানের এই সাক্ষাৎ শুধুমাত্র ধর্মীয় বা আধ্যাত্মিক দিক থেকেই নয়, দেশের ভবিষ্যৎ কৌশলগত দৃষ্টিকোণ থেকেও তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।