শেষ আপডেট: 28 January 2024 13:30
দ্য ওয়াল ব্যুরো: শুরু হয়েছে কাউন্টডাউন। পৃথিবীর মাটি ছাড়ার অপেক্ষায় ইসরোর নতুন উপগ্রহ ইনস্যাট-৩ডিএস। সতীশ ধবন মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রের লঞ্চিং প্যাডে সেজেগুজে তৈরি হয়ে বসেছে স্যাটেলাইট। সবুজ সঙ্কেত পেলেই হুশ করে উড়ে যাবে মহাকাশে।
বছর বছর জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ভারতে বেড়েই চলেছে ভয়ংকর ঘুর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, প্রবল তুষারপাত, বন্যা, ভয়ংকর দাবানলের গ্রাসে ছাই হয়ে যাচ্ছে সবুজ বনভূমি। এমন আবহাওয়ার খামখেয়ালি ও দৌরাত্ম্যেকে হাতের মুঠোয় আনতেই ইসরোর ‘দূত’ ইনস্যাট-৩ডিএস যাচ্ছে মহাকাশে। পেল্লায় রকেট জিএসএলভি-এফ১৪-এ চাপিয়ে ইনস্যাটকে মহাকাশে পৌঁছে দেওয়া হবে। পৃথিবীর নিম্নকক্ষে বসে জলবায়ুর গতিপ্রকৃতির দিকে নজর রাখবে ইনস্যাট। লক্ষ্য করবে সাগর-মহাসাগরকে। দুর্যোগ আসবে কিনা তার আগাম বার্তা পাঠাবে।
আদিত্য-অভিযান থেকে একগুচ্ছ নতুন স্যাটেলাইটের উৎক্ষেপণ—মহাকাশযাত্রায় ভারত অনন্য নজির গড়তে চলেছে বলে আগেই জানিয়েছিল ইসরো। পৃথিবীর স্থলভাগ, মেরু প্রদেশ, হিমবাহের খবর গ্রাউন্ড স্টেশনে পাঠাবে এই স্যাটেলাইট। ৫ থেকে ১০ মিটার রেজোলিউশনে নিখুঁত ম্যাপিং করবে। জলবায়ু বদলের প্রভাব কীভাবে পড়ছে, বাস্তুতন্ত্রে এর প্রভাব কতটা তার বিস্তারিত খবর দিতে পারবে এই স্যাটেলাইট। ভূমিকম্প, সুনামি, আগ্নেয়গিরির বিস্ফোরণ বা ভূমিধসের পূর্বাভাস দেবে।
গত বছর ডিসেম্বরে ইসরোর ‘মেঘনাদ’ রিস্যাট-২বিআর১ উপগ্রহকে মহাকাশে পৃথিবীর কক্ষে বসানো হয়েছে। ৬২৮ কিলোগ্রাম ওজনের সেই উপগ্রহকে মহাকাশে নিয়ে গেছে পিএসএলভি-সি৪৮। পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণের মায়া কাটিয়ে ৫৭৬ কিলোমিটার কক্ষপথে রিস্যাট-২বিআর১-কে বসিয়ে দিয়েছে ইসরোর রকেট। রিস্যাট-২বিআর১ কৃত্রিম উপগ্রহকে বলা হচ্ছে মহাকাশে ভারতের গোপন চোখ। নির্ভুল ভাবে শত্রুশিবিরের উপর নজরদারি চালাতেই পাঠানো হয়েছে এই নজরদারি উপগ্রহকে। এর আগে ভারতীয় নৌ বাহিনীকে সাহয্যের জন্য ২০১৩ সালে মহাকাশে পাঠানো হয়েছিল জিস্যাট-৭ স্যাটেলাইটটিকে। যাকে সেনা বাহিনীতে রুক্মিনী নামেও ডাকা হয়ে থাকে। ভারত মহাসাগরে কড়া নজরদারি চালায় এই উপগ্রহটি, শত্রু জাহাজের গতিবিধি টের পেলেই সেই বার্তা পাঠায় গ্রাউন্ড স্টেশনে।