শেষ আপডেট: 21st February 2024 20:03
দ্য ওয়াল ব্যুরো: চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফল অবতরণ হয়েছে। তারপরেই সূর্যের দিকে পা বাড়িয়েছে ইসরো। এবার মহাকাশে মানুষ পাঠানোর ক্ষেত্রেও আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল তাঁরা। গগনযান অভিযান সফল করতে এক গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষার দরকার ছিল। সেই পরীক্ষায় সাফল্য পেয়েছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা।
গগনযান অভিযানের জন্য যে ইঞ্জিন ব্যবহার করা হবে তার পরীক্ষা হয়েছিল। ইসরো জানিয়েছে, পরীক্ষায় সেই সিই২০ ইঞ্জিন দারুণভাবে পাশ করেছে। তবে এই প্রথম নয়, এর আগে ইঞ্জিনের ছবার পরীক্ষা করা হয়েছিল। এটা ছিল সপ্তমবার। তাতে আশাব্যঞ্জক ফল পেয়েছে ইসরো। সংস্থার তরফে জানান হয়েছে, মহাকাশে মানুষ নিয়ে যেতে উপযুক্ত এই সিই২০ ইঞ্জিন।
'হিউম্যান রেটিং' পাওয়ার পরীক্ষার ছিল এটি। ইসরোর তরফ থেকে জানান হয়েছে, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৫০০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত মহেন্দ্রগিরিতে প্রোপালশান কমপ্লেক্সে এই সপ্তম পরীক্ষা করা হয়েছিল। 'হিউম্যান রেটিং' পেতে একটি ইঞ্জিনকে পরীক্ষার সময় ৬,৫৩০ সেকেন্ড পর্যন্ত ফায়ারিং টেস্ট করতে হয়। আর এই ইঞ্জিনের ফায়ারিং টেস্ট চলেছে ৮,৮১০ সেকেন্ড পর্যন্ত। মোট ৩৯ বার ফায়ার করা হয়েছে এই ইঞ্জিনকে।
গগনযান মিশনে মহাকাশে মানুষ পাঠাতে চায় ইসরো। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৪০০ কিমি উচ্চতায় একটি মহাকাশযান পাঠাতে চলেছে ইসরো। সেই যানে থাকবেন তিন মহাকাশচারী। তিনদিন পর সেটি পৃথিবীতে ফিরে আসবে। গগনযানের যাত্রা হবে তিনটি পর্যায়ে। দু’টো আনম্যানড-মিশন এবং একটা ম্যানড-মিশন। প্রথম ‘ম্যানড মিশন’ মহাকাশবিজ্ঞানের ইতিহাসে মাইলস্টোন হয়ে থাকবে বলে জানিয়েছেন ইসরোর চেয়ারম্যান এস সোমনাথ।
গগনযান অভিযানের জন্য ইতিমধ্যেই বেছে নেওয়া হয়েছে চার মহাকাশচারীকে। ভারতীয় বায়ুসেনার ৬০ জন টেস্ট পাইলটের মধ্যে থেকে এঁদের বেছে নেওয়া হয়। ২০২৫ সালে মহাকাশে মানুষ পাঠাতে চাইছে ইসরো। মহাকাশে কোনও দুর্ঘটনার হাত থেকে ভারতীয় মহাকাশচারীদের বাঁচাতে ক্রু এস্কেপ সিস্টেম (সিইএস)-এর উপর ভরসা রাখছে তাঁরা। মহাকাশে কোনও জরুরি পরিস্থিতি তৈরি হলে দেশে তৈরি এই উন্নত প্রযুক্তিই দেশের মহাকাশযাত্রীদের প্রাণ রক্ষা করবে।