দ্য ওয়াল ব্যুরো: জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগামে সন্ত্রাসবাদী হামলার (Jammu Kashmir Pahalgam Terror Attack) দায়ে আগে নিয়েছিল পাক জঙ্গিগোষ্ঠী লস্কর-ই-তইবা-র 'ছায়া সংগঠন 'দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট'। কিন্তু সেই সংগঠনেরই পাঁচ-ছ'জন সম্প্রতি পহেলগামে হামলার দায় অস্বীকার করেছে। কিন্তু গোয়েন্দারা নিশ্চিত, পাকিস্তানের মদতেই এই হামলা হয়েছে। শুধু তাই নয়, আইএসআই (ISI) আরও বড় হামলার ছক করছে বলেও তাঁদের খবর এসেছে বলে দাবি করা হয়েছে। 

পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই জম্মু-কাশ্মীরেরই একাধিক জায়গায় হামলার পরিকল্পনা করেছে বলে খবর। ইতিমধ্যে সাবসিডিয়ারি ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো (এসআইবি) এবং রেল সুরক্ষাবাহিনী, (আরপিএফ) একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। বলা হয়েছে, কাশ্মীরি নন এমন ব্যক্তি, তিনি পুলিশ হোন বা কাশ্মীরি হিন্দু, তাঁদের ওপর হামলা হতে পারে। গোয়েন্দাদের তরফে এমন সতর্কতা আসার পরই কাশ্মীর জুড়ে নিরাপত্তা আরও আঁটোসাঁটো করা হয়েছে।

পহেলগাম হামলার কয়েক ঘণ্টা পর থেকেই কাশ্মীরের কুলগাম, বারামুল্লা সহ একাধিক জায়গায় নতুন করে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াইয়ে একাধিক সন্ত্রাসবাদী নিকেশ হয়েছে, শহিদ হয়েছেন ভারতীয় সেনাও। ভূ-স্বর্গ যে এখনও উত্তপ্ত তা বলতে কোনও বাধা নেই। এরই মধ্যে গোয়েন্দা সূত্রে এত বড় সতর্কতা জারি করল। 

গোয়েন্দা সূত্রে খবর, সম্প্রতি স্থানীয় এক জঙ্গিকে বান্দিপোরায় রেললাইন ধরে হাঁটতে দেখা গেছে। তার সঙ্গে আরও একজন ছিল বলে সন্দেহ এবং অনুমান তারা সশস্ত্র ছিল। এর আগে কাশ্মীরে বহিরাগত শ্রমিকদের ওপর, তীর্থযাত্রীদের ওপর হামলা হয়েছে। তবে এভাবে সাধারণ পর্যটকদের ওপর হামলার ঘটনা পুলওয়ামার পর সবথেকে বড় বলেই দাবি করা হচ্ছে। তবে আইএসআই-র কী পদক্ষেপ হবে, আপাতত তাই ভাবাচ্ছে গোয়েন্দাদের। 

পর্যটকদের ওপর হামলার ঘটনায় স্থানীয়রা কেউ যুক্ত থাকতে পারেন বলেই গোয়েন্দারা মনে করছেন। কিন্তু কারা জঙ্গিদের সাহায্য করেছিল? স্থানীয় ট্যুর গাইড বা ঘোড়া নিয়ে যারা পর্যটকদের ভ্যালিতে নিয়ে যান তাঁরা? সন্দেহ বাড়ছে। এরই মধ্যে আবার একজন গাইডকে আটক করেছে পুলিশ। এক তরুণী দাবি করেছেন, সন্দেহভাজন জঙ্গির সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছিল! আসলে তিনি নাকি ঘোড়া নিয়েই ভ্যালিতে যাচ্ছিলেন। আর ওই ব্যক্তিই তাঁকে তাঁর ধর্ম কী তা জিজ্ঞেস করেছিল।

গোয়েন্দারা আগেই জানতে পেরেছেন যে, বৈসরন ভ্যালিয়ে বেশ কয়েকবার রেইকি করেছিল জঙ্গিরা। এই যুবক তাদের সাহায্য করতে পারেন বলে সন্দেহ। তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে গন্দেরওয়াল থেকে আয়াজ আহমেদ জুঙ্গল নামের ওই গাইডকে আটক করেছে। ইতিমধ্যে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা শুরু হয়েছে।