বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি হিসেবে জেপি নাড্ডার মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে। ভোটের কথা মাথায় রেখে গেরুয়া শিবির তাঁর মেয়াদ ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত বাড়িয়ে দেয়।
সর্বভারতীয় সভাপতি হওয়ার দৌড়ে প্রথম তিন মহিলা
শেষ আপডেট: 4 July 2025 07:09
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ২০২৪-এর লোকসভা ভোট মিটতেই বিজেপির অন্দরে মাথা চাড়া দেয় নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন। কারণ বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি হিসেবে জেপি নাড্ডার মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে। ভোটের কথা মাথায় রেখে গেরুয়া শিবির তাঁর মেয়াদ ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত বাড়িয়ে দেয়। সেই মেয়াদও শেষ হয়ে গেছে প্রায় এক বছর আগে, কিন্তু এখনও কাউকে খুঁজে পায়নি বিজেপি। সূত্রের খবর, নতুন সভাপতির খোঁজ চলছে। কে দায়িত্ব পাবেন, তা নিয়ে দলে তীব্র জল্পনা শুরু হয়েছে।
বিজেপি সূত্রের খবর, এ বার দলের সর্বভারতীয় সভাপতির পদে একজন মহিলাকে বসাতে চলেছে গেরুয়া শিবির। একাধিক নাম উঠে এলেও শীর্ষে রয়েছেন তিনজন, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন, অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন বিজেপি সভাপতি ডি পুরন্দেশ্বরী এবং তামিলনাড়ুর বিধায়ক বনথি শ্রীনিবাসন।
নির্মলা সীতারামনকে এই পদে বসানোর ভাবনা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। কেন্দ্রীয় বাজেট ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দায়িত্ব সামলানো এই নেত্রী দীর্ঘদিন ধরে দলের সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। সম্প্রতি বিজেপির কেন্দ্রীয় দফতরে জে পি নাড্ডা এবং সাধারণ সম্পাদক বি এল সন্তোষের সঙ্গে তাঁর বৈঠক ঘিরে চর্চা শুরু হয়েছে। দলের দক্ষিণ ভারতে পা মজবুত করতে নির্মলার মতো নেত্রীকে সভাপতি করা কৌশল হিসেবে কাজে আসতে পারে বলেই মনে করছেন অনেকেই।
অন্যদিকে, ডি পুরন্দেশ্বরীও একটি গুরুত্বপূর্ণ নাম। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, বিশিষ্ট ভাষাবিদ এবং সংগঠনের অভিজ্ঞ এই নেত্রী অন্ধ্রের রাজনীতিতে যথেষ্ট পরিচিত। বহু দলীয় মঞ্চ এবং আন্তর্জাতিক সফরে বিজেপির প্রতিনিধি হিসেবে তিনিও বেশ সক্রিয়।
তৃতীয় নাম বনথি শ্রীনিবাসন। কংবটোর দক্ষিণ কেন্দ্রের বিধায়ক এই আইনজীবী দীর্ঘদিন ধরে সংগঠনে যুক্ত। বিজেপি মহিলা মোর্চার সর্বভারতীয় সভাপতির দায়িত্ব সামলেছেন আগে। কেন্দ্রীয় নির্বাচনী কমিটির সদস্যও হয়েছেন, প্রথম তামিল মহিলা হিসেবে।
এক্ষেত্রে সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, আরএসএস (রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ) থেকেও এই পদে একজন মহিলাকে আনার পক্ষে সায় দেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
মহিলা ভোটার যখন বিজেপির জয়ের ক্ষেত্রে একটা বড় ভরসা। তখন ভোটব্যাঙ্ককে আরও পোক্ত করতে এমন পদক্ষেপ যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। বিজেপির দীর্ঘ ইতিহাসে এই প্রথম কোনও মহিলা সর্বভারতীয় সভাপতি হতে চলেছেন কি না, সেদিকে তাকিয়ে গোটা দেশ।