শেষ আপডেট: 10th December 2024 19:03
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ১৪ নভেম্বর নাগপুর-কলকাতাগামী উড়ানে বোমাতঙ্ক ছড়ায়। বোমা রয়েছে বলে ফোন পায় বিমান কর্মীরা। নিরাপত্তার কারণে বিমানটিকে রায়পুরে জরুরি অবতরণ করানো হয়। নাম জড়ায় রায়পুরেরই এক ব্যক্তির। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই এবার উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গিয়েছে, সেদিনের সেই বোমাতঙ্ক ছড়ানোর পিছনে হাত ছিল এক বাঙালির।
১৪ তারিখ সকালে কলকাতামুখী ইন্ডিগোর বিমানটিতে ১৮৭ জন যাত্রী ও ৬ জন বিমান কর্মী ছিল। নাগপুর থেকে রওনা দেওয়ার পরই হুমকি ফোন আসে। বিমানটি জরুরি ভিত্তিতে রায়পুর বিমানবন্দরে নামানো হয়। তদন্তে নেমে বাঙালি ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে, তিনি আসলে একজন গোয়েন্দা অফিসার। নাম অনিমেষ মণ্ডল। কর্মসূত্রে নাগপুরে থাকেন তিনি। একজন গোয়েন্দা অফিসারের এমন কাজ দেখে কার্যত চোখ কপালে ওঠে তদন্তকারী অফিসারদের। তাঁর বিরুদ্ধে ৩৫১(৪) ও সিভিল অ্যাভিয়েশন ১৯৮২ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
যদিও অভিযুক্তের আইনজীবী ফয়জাল রিজভির দাবি, তাঁর মক্কেলের কোনও দোষ নেই। তাঁর কাছে তথ্য আসে ওই বিমানে বোমা রয়েছে। সেই তথ্যই শুধু তিনি বিমান সংস্থায় পৌঁছে দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, অনিমেষ মণ্ডল এক গোয়েন্দা আধিকারিক। তাঁর পরিচয় এভাবে প্রকাশ্যে আনা হল। তাঁর মক্কেল নির্দোষ।
উল্লেখ্য, বিগত কয়েক মাস ধরে প্রায় রোজই বিমান বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার ফোন পাচ্ছে বিভিন্ন সংস্থা। দুর্ভোগের মুখে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের। বোমাতঙ্কে ফ্লাইট ডিলে করছে সংস্থাগুলিও। এই নিয়ে রীতিমতো চিন্তিত অসামরিক পরিবহণ মন্ত্রক। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ইতিমধ্যে বিমান সংস্থাগুলির সিইওদের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বসেছিলেন অসামরিক পরিবহণ মন্ত্রকের আধিকারিকরা। সেই বৈঠক থেকেই কড়া সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।