শেষ আপডেট: 28th January 2025 11:24
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ইনফোসিসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা তথা 'পদ্মভূষণ' সম্মানে ভূষিত কৃষ গোপালকৃষ্ণন সহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে তফসিলি জাতি-উপজাতি নিপীড়ন-বিরোধী আইনে মামলা দায়ের করল পুলিশ। ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্সের সেন্টার ফর সাসটেনেবল টেকনোলজির এক ফ্যাকাল্টি সদস্যের অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে পুলিশ। অভিযোগকারী ব্যক্তি বোভি সম্প্রদায়ের, যা তফসিলি জাতিভুক্ত। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে সদাশিবনগর থানা ইনফোসিসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা সেনাপতি কৃষ গোপালকৃষ্ণন ও ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্সের ১৭ জনের বিরুদ্ধে এসসি/এসটি আইনে মামলা দায়ের করে।
এক ফ্যাকাল্টি সদস্যের অভিযোগ, এঁরা সকলে মিলে একটি ভুয়ো হানি ট্র্যাপ করে তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছেন। কারণ, তিনি নিচুজাতির বলে। এঁরা সকলেই তাঁকে জাতিভিত্তিক হেনস্তার শিকার করেছেন বলে অভিযোগ ওই ফ্যাকাল্টি মেম্বারের। অভিযোগকারী অধ্যাপক ডি সান্না দুর্গাপ্পা শহর দায়রা আদালতে তাঁর অভিযোগ জানান। যার ভিত্তিতে আদালত পুলিশকে একটি মামলা দায়েরের নির্দেশ দিয়েছে। এবং অভিযোগের তদন্ত চালাতে বলেছে। আদালতের নির্দেশে গতকাল, ২৭ জানুয়ারি সদাশিবনগর থানার পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা চালু করে।
কৃষ গোপালকৃষ্ণন ছাড়াও বেঙ্গালুরুর আইআইএসসি-র প্রাক্তন ডিরেক্টর পদ্মনাভন বলরামকেও এই মামলায় অভিযুক্ত করেছেন অধ্যাপক দুর্গাপ্পা। তাঁর অভিযোগ তিনি আদিবাসী বোভি সম্প্রদায়ের বলে এঁরা সকলে মিলে তাঁকে ক্রমাগত হেনস্তা করতেন। এমনকী একটি মিথ্যা হানি ট্র্যাপে ফেলে তাঁর চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল ২০১৪ সালে।
কৃষ গোপালকৃষ্ণন ২০১১-২০১৪ সাল পর্যন্ত ইনফোসিসের ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। ২০০৭-২০১১ সাল পর্যন্ত সিইও এবং এমডি পদে কাজ করেছেন। ২০১১ সালের জানুয়ারিতে ভারত সরকার তাঁকে দেশের তৃতীয় সর্বোচ্চ সম্মান পদ্মভূষণে ভূষিত করে। ২০১৩-১৪ সালে তিনি কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালে দাভোসের ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরামের সহ সভাপতি হয়েছিলেন।