শেষ আপডেট: 2nd October 2023 00:14
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মা বাবার সঙ্গে দিল্লিগামী বিমানে চড়েছিল ৬ মাসের একটি শিশু, আচমকাই শ্বাসকষ্ট হতে শুরু করে তাঁর। বিমানে থাকা দুই চিকিৎসক এগিয়ে এলেন শিশুটিকে রক্ষা করতে। দুই চিকিৎসকের সৌজন্যেই প্রাণ বাঁচল সেই শিশুর। শনিবার ইন্ডিগোর বিমানে এমন ঘটনা চোখের সামনে দেখে সহযাত্রীরা কুর্নিশ জানাচ্ছেন ওই দুই চিকিৎসককে।
জানা গেছে, হার্টের সমস্যা নিয়েই জন্মেছিল শিশুটি। দিল্লি এইমসে তাকে চিকিৎসা করাতেই নিয়ে যাচ্ছিলেন শিশুটির মা বাবা। শনিবার ইন্ডিগো বিমানটি ছাড়ার ২০ মিনিটের মধ্যেই বিমানসেবিকা মেডিক্যাল এমার্জেন্সি ঘোষণা করেন। বিমান ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই শিশুটির শ্বাসকষ্ট শুরু হয়েছিল। মাঝ আকাশে শিশুর শ্বাসকষ্ট হতে দেখে দুশ্চিন্তায় পড়েছিলেন সেই একরত্তির মা-বাবাও। বিমানের মধ্যেই অসহায় ভাবে কান্নাকাটি করতে থাকেন সেই খুদের মা।
ঠিক সেই সময়ই এগিয়ে আসেন একই বিমানে ভ্রমণরত ডাক্তার কুলকার্নি এবং ডাক্তার মোজাম্মিল। ডাক্তার কুলকার্নির অন্যতম পরিচয় তিনি ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপালের প্রধান সচিব তথা চিকিৎসক। অন্যদিকে রাঁচির সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডাক্তার মোজাম্মিল। তড়িঘড়ি একটি প্রাপ্তবয়স্কদের অক্সিজেন মাস্ক জোগাড় করা হয়। বিমানে সেই মুহূর্তে শিশুদের অক্সিজেন মাস্ক না মেলায় সেই দিয়েই শিশুটিকে তখনকার মতো অক্সিজেন দেন দুই চিকিৎসক।
চিকিৎসক কুলকার্নির কথায়, শিশুটি আগে থেকেই অসুস্থ হওয়ায় তার মা বাবার কাছে প্রয়োজনীয় থিওফিলিন ইনজেকশন মজুত ছিল। জরুরি পরিস্থিতিতে ওই ইনজেকশন দেওয়া হয় শিশুটিকে। ইনজেকশন এবং অক্সিজেন দেওয়ার পর সামান্য অবস্থার উন্নতি হয় শিশুটির। তবে সেই সময়ে হাতের কাছে অক্সিমিটার না থাকায় চিকিৎসা করতে বেশ বেগ পেতে হয় দুই চিকিৎসককে। বারবার তারা স্টেথোস্কোপ দিয়ে শিশুর হৃদস্পন্দন মেপে দেখছিলেন।
চিকিৎসক কুলকার্নি বলেন, 'প্রথম ১৫ থেকে ২০ মিনিট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল'। তবে ওই সময়ের মধ্যেই অক্সিজেন মাস্ক এবং ইনজেকশন দিয়ে দেওয়ার ফলেই তখনকার মতো অবস্থা সামাল দেওয়া যায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই শিশুটি চোখ মেলে তাকায়। তবে তাঁরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন কখন বিমানটি দিল্লির মাটি ছোঁবে। দিল্লিতে বিমানটি পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গেই পুরো মেডিকেল টিম তড়িঘড়ি অক্সিজেনের ব্যবস্থা করে শিশুটির জন্য। জরুরি সময়ে যে তাঁরা শিশুটিকে বাঁচাতে পেরেছেন এতেই খুশি দুই চিকিৎসক, বক্তব্য কুলকার্নি এবং মোজাম্মিলের।