Advertisement
উধমপুরে এনকাউন্টার।
Advertisement
শেষ আপডেট: 24 April 2025 10:49
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মঙ্গলবার পহেলগামের ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই জম্মু-কাশ্মীরের কুলগামে নিরাপত্তা বাহিনী ও সন্ত্রাসবাদীদের মধ্যে গুলির লড়াই শুরু হয়। তার মধ্যেই বৃহসস্পতিবার সকাল থেকে উধমপুর জেলার বসন্তগড় এলাকাতেও শুরু হয়েছে এনকাউন্টার। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুধু-বসন্তগড় অঞ্চলে এই গুলি বিনিময় চলছে। সূত্রের খবর, গুলির লড়াইয়ে শহিদ হয়েছেন এক সেনা। তাঁর পরিচয় এখনও বিস্তারিত জানা যায়নি।
জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র, পহেলগামের বৈসরন উপত্যকায় গুলি চালিয়ে ২৬ জন পর্যটককে হত্যা করেছে লস্কর-সমর্থিত জঙ্গিরা। নিহতদের মধ্যে ২৫ জন ভারতীয় এবং একজন নেপালের নাগরিক। এই হামলায় আরও অনেকেই আহত হয়েছেন। এর পর থেকেই উপত্যকার আনাচকানাচে শুরু হয়েছে তল্লাশি, চলছে দফায় দফায় এনকাউন্টার। তাতেই এবার প্রাণ গেল সেনার। জানা গেছে, পাল্টা মুখতোড় গুলি শুরু করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী।
ভারতের ‘মিনি সুইজারল্যান্ড’ বৈসরন যে শুধু পহেলগামের গুরুত্বপূর্ণ ট্যুরিস্ট স্পট তা নয় সমগ্র কাশ্মীরেই এই জায়গাটি অন্যতম জনপ্রিয় গন্তব্য। এখান থেকেই অমরনাথ যাত্রার পথও শুরু হয়। তাই এত জনসমাগমপূর্ণ এলাকায় হামলা চালিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেওয়াই সন্ত্রাসবাদীদের উদ্দেশ্য ছিল বলে মনে করা হচ্ছে।
পহেলগামে ওই হামলার ২৪ ঘণ্টা পরই, বুধবার দুপুরে গুলির লড়াই শুরু দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগামে। জঙ্গিরা লুকিয়ে আছে, এমন খবর পেয়ে কুলগামের তংমার্গ এলাকায় গুলি চালান নিরাপত্তারক্ষীরা।
তার আগেই, বুধবার, দিল্লির একটি অনুষ্ঠানমঞ্চ থেকে দেখে নেওয়ার হুঙ্কার দিয়েছিলেন দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। কাউকে ছেড়ে কথা বলা হবে না, এমনও উল্লেখ করেছিলেন। কিছুক্ষণের মধ্যে ফল পাবে পাকিস্তান, এমন হুঁশিয়ারির কয়েকঘণ্টা পরই এবার পদক্ষেপ করেন নিরাপত্তারক্ষীরা। এর পরে বুধবার সন্ধেয় উচ্চপর্যায়ের বৈঠকও করেন প্রধানমন্ত্রী, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী-সহ কর্তারা।
তার পরেই আজ, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ফের শুরু 'অ্যাকশন'।
বস্তুত, পহেলগামের ঘটনায় গোটা কাশ্মীর জুড়ে নিরাপত্তা বাহিনী সতর্ক অবস্থান নিয়েছে। বুধবার রাতেই পুঞ্চ জেলার মেন্ধারে নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর সন্দেহজনক গতিবিধি লক্ষ্য করে ভারতীয় সেনাবাহিনী গুলি চালায়। প্রতিরক্ষা সূত্রের খবর, পোস্টে মোতায়েন এক সেনা জওয়ান ওই গতিবিধি দেখতে পান এবং সঙ্গে সঙ্গেই ফায়ার করে সম্ভাব্য অনুপ্রবেশ থামিয়ে দেন।
অন্যদিকে, বারামুল্লা জেলাতেও বুধবার বড় ধরনের অনুপ্রবেশ রুখে দেয় সেনাবাহিনী। সেনা সূত্রে জানানো হয়েছে, সেখানে দুই জন সন্ত্রাসবাদীকে হত্যাও করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে দুটি অ্যাসল্ট রাইফেল, প্রচুর গুলি, পিস্তল, ওয়ার-লাইক স্টোরস এবং একটি ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (IED) উদ্ধার করা হয়েছে।
এই ঘটনার পর কেন্দ্রীয় ও রাজ্য নিরাপত্তা সংস্থাগুলো সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। জম্মু-কাশ্মীর জুড়ে সেনা টহল বাড়ানো হয়েছে এবং সম্ভাব্য অনুপ্রবেশ পথগুলোতে নজরদারি জোরদার করা হয়েছে।
Advertisement
Advertisement