শেষ আপডেট: 13th January 2025 15:30
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কাশ্মীরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নতুন টানেল উদ্বোধনের দিনেই দেশের সেনাপ্রধান উপেন্দ্র দ্বিবেদী ভূস্বর্গে জঙ্গিপনা নিয়ে নিশানা করলেন পাকিস্তানকে। সেনাপ্রধানের দায়িত্বভার গ্রহণের পর সোমবার প্রথম সাংবাদিক বৈঠকে দ্বিবেদী চিনের আগ্রাসন ঠেকানোর বিষয়ে বলেন, লাদাখ, পাকিস্তান, মণিপুরসহ উত্তর সীমান্ত এলাকার স্পর্শকাতর নিয়ন্ত্রণরেখা ও প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর যে কোনও পরিস্থিতি মোকাবিলায় সেনা প্রস্তুত। এরপরেই কাশ্মীরি জঙ্গি কার্যকলাপ নিয়ে সরাসরি পাকিস্তানকে তাক করেন দ্বিবেদী।
সেনাপ্রধানের দাবি, পাকিস্তানই হল উপত্যকায় যে কোনও ধরনের জঙ্গি কাজের কেন্দ্রস্থল। পাকিস্তান থেকেই জঙ্গিদের নড়াচড়া করানো হয়। সেখান থেকে মদত আসা বন্ধ না হলে জঙ্গি অনুপ্রবেশও ঠেকানো কঠিন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, সীমান্ত জুড়ে আমাদের সেনা মোতায়েন যথেষ্ট মজবুত এবং আমরা যে কোনও পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে তৈরি আছি। উত্তর সীমান্ত প্রসঙ্গে বলেন, পরিস্থিতি স্পর্শকাতর থাকলেও আপাতত ঠিক আছে। পূর্ব লাদাখ এলাকায় যেমন ডেপসাং ও দেমচোক-এর মতো গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টের পরিস্থিতির উন্নতি ঘটেছে। দীর্ঘ কয়েক বছর পর সেখানে ফের সেনা টহল শুরু হয়েছে বলে জানান সেনাপ্রধান। তিনি জোরের সঙ্গে বলেন, ঠিক হয়েছে এখন থেকে শীতকালেও উত্তর সীমান্ত এলাকার কঠিনতম পরিস্থিতির মধ্যেও সেনা সংখ্যা কমানো হবে না। চিনের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে গ্রীষ্মকালীন সেনা মোতায়েন নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে।
#WATCH | Delhi: Indian Army Chief General Upendra Dwivedi, says "I'll first dwell upon issues and to begin with the Northern borders, as you are aware the situation is sensitive but stable. In October situation in Depsang and Demchok in Eastern Ladakh got resolved. The patrolling… pic.twitter.com/5guzeD7ssY
— ANI (@ANI) January 13, 2025
মণিপুর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পার্বত্য রাজ্যে ধীরে ধীরে পরিস্থিতির উন্নতি ঘটছে। পরিস্থিতি এখন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। যেটুকু বাকি আছে, আমরা চেষ্টা করছি তাও ফিরিয়ে আনার। ভারত-মায়ানমার সীমান্ত এলাকায় নজরদারি ও সেনা টহল বাড়ানো হয়েছে একথা জানিয়ে বলেন, সেদেশের গন্ডগোলের ছাপ যাতে এখানে না পড়ে তার দিকে নজর রাখা হচ্ছে। ২০২৪ সালের থেকে শিক্ষা নিয়ে কুইক রিঅ্যাকশন টিম এবং কুইক রিঅ্যাকশন মেডিক্যাল টিমের উন্নতিতে ১৭ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
#WATCH | Delhi: Indian Army Chief General Upendra Dwivedi, says "Last year, 60% of terrorists eliminated were of Pakistan origin. As of today, whatever is a remnant in the Valley and Jammu area, we feel that around 80% or more are of Pakistan origin...Coming on to J&K, the… pic.twitter.com/3pbltpeo7f
— ANI (@ANI) January 13, 2025
ভারত-পাক সীমান্ত এলাকার জঙ্গি কার্যকলাপ নিয়ে তাঁর জোরাল দাবি, এর নাটের গুরু পাকিস্তান। তথ্য দিয়ে বলেন, ২০২৩ সালে যেসব জঙ্গি নিকেশ করা হয়েছিল, তার ৬০ শতাংশই ছিল পাকিস্তানি। আজকের দিন পর্যন্ত জম্মু-কাশ্মীরে সক্রিয় জঙ্গিদের মধ্যে ৮০ শতাংশ কিংবা তারও বেশি হল পাকিস্তানের নাগরিক। এতকিছু প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে যুদ্ধবিরতি বহাল থাকলেও উপত্যকায় এখনও জঙ্গি কার্যকলাপ সক্রিয় রয়েছে। চোরাগোপ্তা জঙ্গি অনুপ্রবেশেও খামতি নেই।
উপেন্দ্র দ্বিবেদী এদিন আরও বলেন, ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের কৌশলগত গুরুত্ব অপরিসীম। আমি বাংলাদেশ সেনাপ্রধানের সঙ্গে ক্রমাগত যোগাযোগ রেখে চলেছি। দুদেশের বন্ধুত্ব এখনও মজবুত রয়েছে। তবে চলতি পরিস্থিতির দরুন যৌথ মহড়া আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক অবস্থা স্বাভাবিক হলেই যৌথ মহড়া হবে। সেনা সম্পর্কের দিক থেকে ভারত-বাংলা সম্পর্ক অটুট রয়েছে।