সীমান্তে মিষ্টি বিনিময় করা হচ্ছে - ফাইল ছবি
শেষ আপডেট: 31 October 2024 10:09
দ্য ওয়াল ব্যুরো: লাদাখে সংঘাতের জায়গা থেকে সেনা প্রত্যাহার বুধবারই সম্পন্ন হয়েছে ভারত-চিনের। দীপাবলিতে দুই দেশের জওয়ানরা একে অপরকে মিষ্টি বিনিময় করবে বলেও জানা গেছিল। সেই মতো বৃহস্পতিবার এলএসি সীমান্তে মিষ্টিমুখ করলেন ভারতীয় সেনা এবং চিনের লাল ফৌজ। লাদাখ ছাড়াও আরও দুই রাজ্যের তিন সীমান্তে জওয়ানরা মিষ্টি বিনিময় করেছেন।
পূর্ব লাদাখের ডেপসাং এবং দেমচোক থেকে শিবির সরানোর কাজ অনেকদিনই শুরু করেছিল চিন। এছাড়াও লাদাখের বেশ কয়েকটি জায়গায় চিন সেনা ঘাঁটি গেড়েছিল। ধীরে ধীরে সেগুলিও সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। গালওয়ানে দুই দেশের সেনার সংঘর্ষের পর থেকে সীমান্তে যে সমস্যা বেড়েছিল তার জেরেই ভারত-চিন সম্পর্কে ফাটল ধরে। তবে সম্প্রতি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ব্রিকস সামিটে যোগ দেওয়ার আগে থেকে এলএসি-তে সেনা প্রত্যাহার শুরু হয় চিনের।
এলএসি-র বিতর্কিত অঞ্চলগুলিতে সেনা পিছোনো বা ডিসএনগেজমেন্ট-এর কাজ শেষ করেছে ভারতীয় সেনাও। এই বিষয়টিকে একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে সামনে রেখেই দুই দেশের জওয়ানরা মিষ্টি বিনিময় করেছেন পাঁচ জায়গায়। লাদাখের চুসুল মান্দো এবং দৌলত বেগ ওলদি, অরুণাচল প্রদেশের বাঞ্ছা, বুমলাহ এবং সিকিমের নাথুলা পাস সীমান্তে মিষ্টি বিনিময় করেছে ভারত-চিন সেনা।
কিছুদিন আগে উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়েছিল পূর্ব লাদাখের ডেপসাং এলাকার পেট্রল পয়েন্ট ১০-এ চিনের যে বিরাট শিবির ছিল, ওই একই জায়গা পুরো ফাঁকা হয়ে গেছে। এর দক্ষিণ দিকে গত ৯ অক্টোবর দেমচোকের ছবিতে দেখা গেছিল একটি নির্মাণ। সেটাও উধাও। এর থেকেই অনুমান করা হচ্ছিল যে, চুক্তিমতো সেনা শিবির সরিয়ে নিচ্ছে চিন। বুধবার তা পুরোপুরি সম্পন্ন হয়েছে।
ভারতীয় সেনা সূত্রে খবর, খুব তাড়াতাড়ি স্বাভাবিক নজরদারি শুরু হবে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা এলাকায়। কীভাবে কোন এলাকায় নজরদারি চলবে তার ব্লু-প্রিন্ট তৈরি করা হবে। খুব দ্রুত টহলদারির পুরনো ব্যবস্থায় ফিরে যেতে চলেছে দুই দেশ।