মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
শেষ আপডেট: 27 July 2024 13:57
দ্য ওয়াল ব্যুরো: তাঁকে বলতেই দেওয়া হয়নি! এই অভিযোগ করেই শনিবার দিল্লিতে নীতি আয়োগের বৈঠক থেকে বেরিয়ে আসেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ঘটনার পরই সরগরম জাতীয় রাজনীতি। পারতপক্ষে বিষয়টি আবার 'ইন্ডিয়া' বনাম বিজেপি হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ বিজেপি বিরোধী জোটের একাধিক নেতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
মুখ্যমন্ত্রীর স্পষ্ট দাবি, তিনি ৫ মিনিট বলতে না বলতেই বারবার বেল বাজানো হয়। যদিও অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নায়ডু ২০ মিনিট ধরে তাঁর কথা বলেছেন। মমতার এই অভিযোগ নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই তোলপাড় শুরু হয়েছে দেশজুড়ে। কেন্দ্রের তরফে ইতিমধ্যেই অবশ্য মমতার সব অভিযোগ খণ্ডন করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বিরোধী জোট শিবির এত সহজে বিষয়টি ছেড়ে দিচ্ছে না।
বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশের বক্তব্য, ''নীতি আয়োগ আসলে নন-বায়োলজিক্যাল প্রধানমন্ত্রীর হয়ে ঢাক বাজাতে ব্যস্ত। তাঁদের নিরপেক্ষ, সতন্ত্র এবং স্বাধীন হওয়া উচিত। কিন্তু তাঁরা বর্তমানে এই বিজেপি সরকারের ইশারাতেই কাজ করে। আসলে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের একটি শাখায় পরিণত হয়েছে নীতি আয়োগ।'' জয়রাম এটাও স্পষ্ট করে দেন, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছে তা কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এটা অপমান ছাড়া আর কিছু নয়।
Since it was established ten years ago, NITI Aayog has been an attached office of the PMO and has functioned as a drumbeater for the non-biological PM.
— Jairam Ramesh (@Jairam_Ramesh) July 27, 2024
It has not advanced the cause of cooperative federalism in any manner. Its functioning has been blatantly partisan, and it is…
একই সুরে কেন্দ্রীয় সরকার, নীতি আয়োগকে বিঁধেছেন কংগ্রেস সাংসদ রাজীব শুক্লাও। তাঁর কথায়, ''একটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে দেওয়া হচ্ছে না, এটা অত্যন্ত লজ্জার বিষয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যা হয়েছে তা একদমই উচিত নয়। নীতি আয়োগের এই বিষয়টি নিয়ে ভাবা দরকার।''
নীতি আয়োগের এই বৈঠক প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, গোটা বৈঠকে বিরোধীদের একমাত্র কণ্ঠস্বর তিনিই ছিলেন। সেই কণ্ঠ রোধ করার চেষ্টা হয়েছে। তাই বৈঠক বয়কট করে তিনি ঠিক করেছেন। কংগ্রেসের পাশাপাশি তাঁর সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছে ইন্ডিয়া জোটের অন্য এক শরিকদল ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা বা জেএমএম। তাঁদের বক্তব্য, ''এটা পরিষ্কার বৈষম্য। প্রতিটি রাজ্যের সমান অধিকার এবং সম্মান থাকা উচিত। যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন করছিলেন তখনই তাঁর মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কাউকে নিমন্ত্রণ জানিয়ে যদি তাঁর সঙ্গে এমন আচরণ করা হয় তাহলে যে কেউ প্রতিবাদ করবে। এটা আত্মসম্মানের বিষয়।''
এদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ নিয়ে দেশের রাজনৈতিক মহল যখন তোলপাড় তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে জবাব দেন সীতারামন। তিনি বলেন, নীতি আয়োগের বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যোগ দিয়েছিলেন। আমরা সবাই তাঁর কথা শুনেছি। প্রত্যেক মুখ্যমন্ত্রীকে বলার সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। এবং শুধু তাই নয়, সেই সময় প্রতিটি টেবিলের উপর রাখা স্ক্রিনে ডিসপ্লে করা ছিল। নির্মলা এদিন আরও বলেন, কিন্তু উনি বাইরে বেরিয়ে মিডিয়াকে বলেন যে, তাঁর মাইক নাকি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।