শেষ আপডেট: 27th October 2024 12:09
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ভারতের রাষ্ট্রদূতের বিরুদ্ধে কানাডা যে আক্রমণাত্মক মনোভাব দেখিয়েছে, তার কড়া নিন্দা করলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। শনিবার পুনেতে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, 'ট্রুডো সরকারের এই কড়া মানসিকতা একেবারেই মেনে নেওয়া হয়নি।'
গত কয়েক মাস ধরেই ভারত ও কানাডার মধ্যে চলা কূটনৈতিক উত্তেজনার পরিস্থিতির মধ্যে ভারতকে খালিস্তানি সন্ত্রাসবাদী হরদীপ সিং নিজ্জরের হত্যায় জড়িত বলে অভিযোগ তুলেছে কানাডা। এমনকি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর নামও এই মামলায় উঠে এসেছে আন্তর্জাতিক সংবাদপত্রে। ফলে এই নিয়ে দু'দেশের সম্পর্ক বেশ তিক্ত হয়েছে।
শনিবার পুনের অনুষ্ঠানে এই নিয়ে কথা বলতে গিয়ে জয়শঙ্কর জানান, কানাডায় অপরাধমূলক কাজকর্ম নতুন নয়। এই নিয়ে ভারত আগে থেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল। কিন্তু পাশাপাশিই সহনশীলতাও দেখানো হয়েছিল। দীর্ঘদিন ধরে এই সহ্য করে নেওয়ার রীতি-পরিবেশ ছিল বলেই কানাডা সমস্ত অভিযোগ উপেক্ষা করে এসেছে বলে দাবি করেন জয়শঙ্কর।
তিনি অনুষ্ঠানে বলেন, ‘আরও সংযত এবং দায়িত্বশীল আচরণ করা উচিত ছিল কানাডা সরকারের।’ পাশাপাশি, কানাডার ভারতীয় হাইকমিশনার সঞ্জয় বর্মা এবং অন্যান্য কূটনীতিবিদদের বিরুদ্ধে কানাডা সরকার যে অভিযোগমূলক তদন্ত করছে, তারও নিন্দা করে জয়শঙ্কর কড়া ভাষায় বলেন, 'আমরা সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করছি... কানাডা আমাদের হাইকমিশনার এবং কূটনীতিবিদদের রীতিমতো টার্গেট করেছে।'
প্রসঙ্গত, এর পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে সঞ্জয় বর্মা এবং পাঁচজন কূটনীতিবিদকে কানাডা থেকে দেশে ডেকে পাঠিয়েছে নয়াদল্লি এবং দিল্লি থেকে ছ'জন কানাডিয়ান কূটনীতিবিদকে বহিষ্কারও করা হয়েছে।
এদিন জয়শঙ্কর জানান, কানাডায় একটি ‘ছোট গোষ্ঠী’ বড় রাজনৈতিক কণ্ঠস্বর পেয়ে গিয়েছে সেখানকার রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে। এটি ভারত-কানাডা সম্পর্কের জন্য তো বটেই, বরং কানাডার জন্যও ক্ষতিকর। রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতে ভারত গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক ভূমিকা পালন করছে বলে দাবি করে তিনি বলেন, 'ভারত একদিকে যেমন মস্কোয় গিয়ে পুতিনের সঙ্গে দেখা করতে পারে, তেমনই ইউক্রেনে গিয়ে জেলেনস্কির সঙ্গেও আলোচনা করে। এগুলি বিশ্বের কাছে দৃষ্টান্ত।'