ফাইল ছবি
শেষ আপডেট: 8 May 2025 17:11
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ভারতের 'অপারেশন সিঁদুর'-এর (Operation Sindoor) বদলা নিতে গেছিল পাকিস্তান (Pakistan)। বুধবার রাতে ভারতের ১৫টি সেনা ক্যাম্পে হামলা চালানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু তা শুধু প্রতিরোধই করেনি সেনা, পাল্টা পাকিস্তানের 'এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম' (Air Defence System) ধ্বংস করে দিয়েছে। ইতিমধ্যে এই নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
পহেলগাম কাণ্ডের প্রতিশোধ নিয়ে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের একাধিক জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করেছে ভারতীয় সেনা। বুধবার ভোর পর্যন্ত হামলায় পাকিস্তানকে কার্যত 'নরক' দর্শন করানো হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই সেই হামলা সহ্য করতে পারেনি ইসলামাবাদ। তাঁদের তরফে আগেই হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল যে, বদলা নেওয়া হবে। নয়াদিল্লির তরফে জানানো হয়েছে, বুধবার রাতে উত্তর এবং পশ্চিম ভারতের অন্তত ১৫টি শহরে ড্রোন হামলার চেষ্টা করেছিল পাকিস্তান। তবে সেই চেষ্টা ব্যর্থ করে দেওয়া হয়েছে।
নয়াদিল্লি জানিয়েছে, জম্মু-কাশ্মীরের শ্রীনগর, পাঠানকোট, জম্মু, অবন্তীপুর ছাড়া পাঞ্জাবের অমৃতসর, লুধিয়ানা, চণ্ডীগড় সহ একাধিক জায়গায় ড্রোন হামলা করার চেষ্টা করেছিল পাকিস্তান। কিন্তু এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের দ্বারা সেই ড্রোনগুলি নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।
সেই সঙ্গে পাল্টা হামলা করে লাহোর সহ পাকিস্তানের একাধিক শহরের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, পাকিস্তানের এইচকিউ-৯ মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম ইউনিট যা চিনের তৈরি করা, তা ধ্বংস করেছে ভারত। আর এর জন্য ব্যবহার করা হয়েছে ইজরায়েল নির্মিত 'হারপ' ড্রোন।
বৃহস্পতিবার সকালে পাঞ্জাবের অমৃতসরের মাখান উইন্ডি গ্রাম থেকে মিসাইলের অংশ উদ্ধার হওয়া নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বুধবার রাত ১টার পর অন্তত ৫ বার বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন তাঁরা! তারপরই অনেকের বাড়ির ছাদে কিছু পড়ার শব্দও শোনা গেছে। শুধু তাই নয়, এলাকায় কম্পন অনুভূত হয়েছে বলেও কারও কারও দাবি।
এখন স্পষ্ট হল, পাকিস্তানের নিষ্ক্রিয় ড্রোন থেকেই এই মিসাইলের টুকরোগুলি পড়েছে। ইতিমধ্যে পাকিস্তানকে প্রত্যাঘাতের পর কাশ্মীর সীমান্তে হামলার পরিমাণ আরও বাড়িয়েছে পাক সেনা। নয়াদিল্লি অবশ্য সতর্কতা অবলম্বন করে দেশের সব সীমান্তে নিরাপত্তা বৃদ্ধি করেছে। আর মিসাইলের অংশ পাঞ্জাবের গ্রামের যে এলাকা থেকে উদ্ধার হয়েছে তা সীমান্তের কাছেই। সুতরাং বলাই যায়, এমন হামলার আশঙ্কা এখনও থেকে যাচ্ছে।