অপারেশন সিঁদুর পরবর্তী ও ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধের ‘আঁখো দেখা হাল’ পর্যবেক্ষণ করে প্রতিরক্ষা সরঞ্জামে দেশকে আরও শক্তিশালী করার পদক্ষেপ নিল ভারত।
প্রতিরক্ষা প্রকল্প চালু করার আগে প্রয়োজন পড়ে মন্ত্রকের প্রাথমিক সম্মতি।
শেষ আপডেট: 4 July 2025 08:55
দ্য ওয়াল ব্যুরো: অপারেশন সিঁদুর পরবর্তী ও ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধের ‘আঁখো দেখা হাল’ পর্যবেক্ষণ করে প্রতিরক্ষা সরঞ্জামে দেশকে আরও শক্তিশালী করার পদক্ষেপ নিল ভারত। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ও সাতটি ছোট প্রকল্পে অস্ত্র ও যুদ্ধ সরঞ্জামের মজুত ভাণ্ডার তৈরির বিষয়ে প্রাথমিক সবুজ সংকেত দিল। যার সর্বমোট খরচ পড়বে ১.০৫ লক্ষ কোটি টাকা। এর মধ্যে থাকবে বিশেষভাবে তৈরি চর বিমান, সমুদ্র তলদেশে রাখা মাইন চিহ্নিত ও নষ্ট করার ভাসমান জলযান (Minesweepers) থেকে অতি দ্রুত কার্যকরী আকাশপথে ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী অস্ত্র এবং জলের নীচে স্বচালিত যান।
যে কোনও বিরাট প্রতিরক্ষা প্রকল্প চালু করার আগে প্রয়োজন পড়ে মন্ত্রকের প্রাথমিক সম্মতি। প্রথম পদক্ষেপ হলেও এই সম্মতির পরেই যে কোনও বড় প্রকল্প নিয়ে এগনো যায়। দীর্ঘমেয়াদি এই প্রকল্পের মধ্যে সবথেকে বড়টি হল- ১২টি মাইন কাউন্টারমেজার ভেসেলস (MCMVs) নির্মাণ। দেশীয় পদ্ধতিতে এই জল সুরক্ষা যান তৈরির বরাদ্দ ধরা হয়েছে প্রায় ৪৪,০০০ কোটি টাকা। তৈরি করতে সময় লাগবে অন্তত বছর দশেক।
বিশেষভাবে নির্মিত এই যুদ্ধজাহাজগুলি নৌসেনার ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে। এগুলি হারবার, বন্দরের ক্ষতি করতে জলের নীচে রাখা শত্রুপক্ষের মাইন শনাক্ত করে ধ্বংস বা অকার্যকরী করতে পারদর্শী। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে শত্রুদের উদ্দেশ্য থাকে বন্দর, নৌপোতের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিতে। যাতে সমস্ত ধরনের বাণিজ্য ও নৌসেনার মুভমেন্ট রোধ করা যায়।
দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পটি হচ্ছে- ৩৬,০০০ কোটি টাকার কুইক রিঅ্যাকশন সারফেস টু এয়ার মিসাইল (QRSAM)। ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা উন্নয়ন সংস্থা (DRDO) এটি তৈরি করবে সেনাবাহিনীর তিনটি রেজিমেন্ট ও বিমানবাহিনীর তিনটি স্কোয়াড্রনের জন্য। এই জাতের ভূমি থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করা হবে শত্রুপক্ষের বোমারু বিমান, হেলিকপ্টার, ড্রোনকে নিষ্ক্রিয় বা ধ্বংস করতে। প্রায় ৩০ কিমি পাল্লার হবে প্রতিটি। এর ফলে দেশের আকাশ সুরক্ষা আরও অনেক বেশি শক্তিশালী হবে। এর উপযোগিতা অনুধাবন করা গিয়েছে, পাকিস্তানের সঙ্গে মিনি যুদ্ধের সময় তুরস্কের ড্রোন ও চিনা ক্ষেপণাস্ত্রকে অকেজো করার ক্ষেত্রে।
তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হচ্ছে- ১০,০০০ কোটি টাকা ব্যয়ে তিনটি ইন্টেলিজেন্স, সার্ভেলিয়ান্স, টার্গেট অ্যাকুইজিশন অ্যান্ড রিকনেসেন্স (ISTAR) বিমান। এটিও দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি করবে ডিআরডিও। এতে থাকবে সিনথেটিক অ্যাপারচার রাডার, ইলেক্ট্রো অপটিক্যাল ও ইনফ্রারেড সিস্টেম। যার ফলে শত্রুপক্ষে যুদ্ধবিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র এবং সেনা ঘাঁটি, সেনা মোতায়েন ও অগ্রগতি নিখুঁতভাবে নির্দিষ্টভাবে আঘাত হানতে সক্ষম হবে।