শেষ আপডেট: 28th January 2025 08:18
দ্য ওয়াল ব্যুরো: চলতি বছরে, আসন্ন গ্রীষ্মেই কৈলাস-মানস সরোবর যাত্রা নতুন করে শুরু করতে সম্মত হয়েছে ভারত-চিন। সীমান্ত সংঘাত পর্ব কেটে গিয়ে পারস্পরিক বোঝাপড়ায় আরও উন্নতি চোখে পড়ল এবার।
ঘটনা হল, পাঁচ বছর পর ফের কৈলাস-মানস সরোবর যাত্রা শুরু হতে চলেছে। তীর্থযাত্রা নিয়ে আগে থেকে যে চুক্তি রয়েছে দুই দেশের মধ্যে, সেই অনুযায়ীই সবকিছু হবে বলে জানিয়েছে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক। শুধু তাই নয়, ভারত এবং চিনের মধ্যে আবার সরাসরি বিমান পরিষেবা চালু করা নিয়েও নাকি আলোচনা হয়েছে, যাতে সায় রয়েছে দুই দেশেরই।
ভারত এবং চিনের মধ্যে বিদেশ সচিব পর্যায়ের দু’'দিনের বৈঠকে যোগ দিতে বেজিং গিয়েছিলেন ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিসরি। বৈঠকে দুই দেশ নানা বিষয়ে একমত পোষণ করেছে বলেই খবর। অক্টোবরে কাজানে নরেন্দ্র মোদী এবং চিনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিংয়ের মধ্যে যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে বৈঠক হয়েছিল, সেখানেই দুই দেশের স্থিতাবস্থা ফিরিয়ে আনতে আলোচনা হয়। বিদেশ সচিব পর্যায়ের বৈঠকে সেগুলি পর্যালোচনা করেই কৈলাস-মানস সরোবর যাত্রা নতুন করে শুরু করতে রাজি হয়েছে দুই দেশ।
২০২০ সালে অতিমারি পরিস্থিতিতে কৈলাস-মানস সরোবর যাত্রা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তার পর নয় নয় করে পাঁচ বছর কেটে গেলেও, পুনরায় তীর্থযাত্রা শুরু করা যায়নি। কৈলাস পর্বত এবং তিব্বতের মানস সরোবর হ্রদকে ঘিরে এই যাত্রা হয়ে থাকে।
বরং লাদাখ এবং অরুণাচলে সীমান্ত সংঘাত যত গভীরতর হয়েছে, তীর্থযাত্রার ভবিষ্যৎ নিয়ে ততই অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। বিশেষ করে গালওয়ানে দুই দেশের সেনার মধ্যে সংঘর্ষ বাধলে, পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে। অবশেষে সেই জট কাটতে চলেছে।
কৈলাস পর্বত হল ভগবান শিবের পবিত্র বাসস্থান। হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা মনে করেন, ভগবান ব্রহ্মা নিজে মানস সরোবরের সৃষ্টি করেছিলেন। সেখানে স্নান করলে সমস্ত পাপ ধুয়ে যায়, পাপের প্রায়শ্চিত্ত হয় বলেও মনে করা হয়। আবার বৌদ্ধদের কাছেও মানস সরোবরের ধর্মীয় গুরুত্ব রয়েছে। তাই ওই অঞ্চলে তীর্থ করতে যান দুই দেশেরই বহু মানুষ। দীর্ঘদিন সেই যাত্রা বন্ধ থাকলেও, মানুষের স্বার্থেই তা আবার চালু করতে রাজি হল ভারত-চিন।
পাশাপাশি, দুই দেশই সরাসরি বিমান পরিষেবা পুনরায় চালু করারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গত পাঁচ বছর ধরে দুই দেশের মধ্যে সরাসরি বিমান পরিষেবা বন্ধ ছিল।