শেষ আপডেট: 19th October 2024 17:13
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ঝাড়খণ্ড বিধানসভা ভোটে ইন্ডিয়া জোটের আসনরফা চূড়ান্ত হল। ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা এবং কংগ্রেস আসন্ন ভোটে একসঙ্গে লড়বে বলে শনিবার জানান মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। আগামী ১৩ ও ২০ নভেম্বর রাজ্যে ভোটগ্রহণ হবে, ফল ঘোষণা ২৩ নভেম্বর।
সোরেন এদিন বলেন, ইন্ডিয়া জোট মিলিতভাবে বিজেপির মোকাবিলা করবে। ৮১টি আসনের মধ্যে জেএমএম এবং কংগ্রেস ৭০টিতে লড়বে। জোটের অপর দুই শরিক লালুপ্রসাদ যাদবের রাষ্ট্রীয় জনতা দল এবং সিপিআইএমএলের জন্য ১১টি কেন্দ্র বরাদ্দ করা হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী সোরেন আরও বলেন, কারা কোন আসনে লড়াই করবে তা পরে জানানো হবে। উল্লেখ্য, গত শুক্রবারই এনডিএ-র আসন বণ্টন ঘোষণা করেন অসমের বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। যেখানে বিজেপি লড়ছে ৬৮ আসনে। তাদের জোট শরিক আজসু লড়াই করবে ১০টিতে। জেডিইউ এবং এলজেপি পাসোয়ান গোষ্ঠী একটি করে কেন্দ্রে প্রার্থী দেবে বলে চূড়ান্ত হয়েছে।
ঝাড়খণ্ডে বর্তমানে জেএমএম একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল। ৩০ বিধায়ক আছে হেমন্ত সোরেনের দলের। এদিনও তিনি বলেন, ক্ষমতায় ফেরার বিষয়ে আমরা নিশ্চিত। আসন সমঝোতা ঘোষণার পর কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেন, বিজেপি আদিবাসী ও বনবাসী বলে কী বোঝাতে চায়? ওরা আপনাদের ইতিহাস, দর্শন, বিজ্ঞান, চিকিৎসা বিজ্ঞান এবং জীবনধারাকে মুছে দিতে চায়। আদিবাসী মানে যারা প্রথম এসেছে। বনবাসী মানে যাঁরা জঙ্গলে বাস করেন। রাঁচিতে আয়োজিত সংবিধান সম্মান সম্মেলনে ভাষণ দিতে গিয়ে বিরোধী দলনেতা আরও বলেন, বিজেপি সংবিধানকে আক্রমণ করছে। তাকে যে কোনও মূল্যে বাঁচাতেই হবে।
তবে এদিনের আসন সমঝোতা নিয়ে মোটেই খুশি হয়নি আরজেডি। দলের নেতা মনোজকুমার ঝা মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরেই বলেন, সবকিছু কেমন যেন ইনস্ট্যান্ট টু মিনিটস নুডলসের মতো হয়ে গেল। কংগ্রেস এবং জেএমএম একতরফাভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা খুবই হতাশ এই রফাসূত্রে। যদিও কংগ্রেস নেতা পবন খেরার দাবি, এই সিদ্ধান্তে কেউ হতাশ হয়নি। কোথাও কোনও ক্ষোভ নেই, সকলেই খুশি হয়েছেন।