শেষ আপডেট: 11th October 2024 09:16
দ্য ওয়াল ব্যুরো: হিজবুত তাহরীরকে বিপজ্জনক জঙ্গি সংগঠন বলে ঘোষণা করল ভারত। কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে শুক্রবার থেকে এই সংগঠন প্রকাশ্যে বা গোপনে কোনও সাংগঠনিক কাজ করতে পারবে না। বলা হয়েছে, হিজবুত তাহরীর আইএস-এর কায়দায় ভারত জঙ্গি তৎপরতা শুরু করেছে।
বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে এই সংগঠন আগে থেকেই নিষিদ্ধ। নিষিদ্ধ মুসলিম-অমুসলিম নির্বিশেষ আরও বহু দেশে। যদিও যুক্তরাজ্য তাদের নিষিদ্ধ করেনি।
বাংলাদেশে শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর সংগঠনটির কথা নতুন করে আলোচনায় আসে। জানা যায়, বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামির মতো হিজবুত তাহরীরও হাসিনাকে উৎখাতে সশস্ত্র ভূমিকা নিয়েছিল। পুলিশ এবং আওয়ামী লিগের নেতা-কর্মীদের হত্যা এবং ৫ অগাস্ট পরবর্তী নৈরাজ্যে হিজবুত তাহরীর বিশেষ ভূমিকা ছিল। এই সংগঠন তা স্বীকারও করেছে। সম্প্রতি সংগঠনের প্রেস সমন্বয়কে গ্রেফতার করেছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার।
ইসলামি খিলাপত এককথায় ইসলামিক শাসন ব্যবস্থা কায়েমের লক্ষ্যে কাজ করা এই সংগঠনের আরও এক উদ্দেশ্য হল দেশে দেশে সেনাবাহিনীর মধ্যে প্রভাব তৈরি করে ইসলামিক শাসন কায়েম। বাংলাদেশের সেনা বাহিনীতে হিজবুত ও জামাতের ভাল প্রভাব আছে বলে খবর। ভারতেও সংগঠনটি ইসলামিক শাসন কায়েমের লক্ষ্যে কাজ করছে বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে জানানো হয়েছে।
সে দেশে ২০০৯ সালে সংগঠনটিতে তৎকালীন শেখ হাসিনা সরকার নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল। যদিও তাদের গোপন কার্যকলাপ যে বন্ধ ছিল না সম্প্রতি একাধিক ঘটনায় তার প্রমাণ মিলিছে। বাংলাদেশের একাধিক গোয়েন্দা বাহিনীর রিপার্টে বলা হয়েছে, গণঅভ্যুত্থানের সুযোগে হিজবুত জেল ভেঙ্গে তাদের জঙ্গি নেতাদের বের করে নিতে সক্ষম হয়েছে, যারা আগামী দিনে বাংলাদেশ ও ভারতের জন্য দুশ্চিন্তার কারণ।
ভারতে সংগঠনটি মূলত আইএস-সহ একাধিক ইসলামিক বিচ্ছিন্নতাবাদী ও জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করে। হালে বেশ কিছু অভিযানে এই সংগঠনের কাজকর্মের সক্রিয়তা ভারতীয় গোয়েন্দাদের নজরে আসে।