ফাইল চিত্র
শেষ আপডেট: 10 May 2025 19:11
দ্য ওয়াল ব্যুরো: শনিবার বিকেল ৫.৪৫ নাগাদ যুদ্ধবিরতির (India Announces Ceasefire) কথা ঘোষণা করলেন ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিসরি। শনিবার বিকেল ৫টা থেকে যুদ্ধবিরতি লাগু হয়েছে। সূত্রের খবর, সরাসরি আলোচনার মাধ্যমে দুই দেশই এই সমঝোতা করতে আগ্রহী হয়। নিয়ম অনুযায়ী, জল, স্থল ও আকাশ পথে দুই দেশ একে অপরের ওপর আর আক্রমণ চালাবে না (India Pakistan latest Update)।
২২ এপ্রিল পহেলগামে জঙ্গি হামলার পর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত করে ভারত। তারপরই যুদ্ধবিরতি (Ceasefire) লঙ্ঘন করে নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর গুলি চালাতে শুরু করে পাক সেনা (Pakistan Army)। পাল্টা প্রত্যাঘাত স্বরূপ গত মঙ্গলবার পাক অধীকৃত কাশ্মীরে ঢুকে নয় জঙ্গি ঘাঁটি দুরমুশ করে ভারতীয় সেনা। শুরু হয় আক্রমণ, প্রতিরোধ ও পাল্টা আক্রমণ।
কয়েকদিন ধরে চলা এই টানা সংঘাত এবং বাড়তে থাকা উত্তেজনা শিথিল করতে শনিবার ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা হল। সরকারি সূত্রে জানানো হয়েছে, দুই দেশের সরাসরি আলোচনার মাধ্যমেই এই সমঝোতায় পৌঁছনো সম্ভব হয়েছে।
জানা গেছে, শনিবার বিকেল ৩টে ৩৫ মিনিটে পাকিস্তানের ডিরেক্টর জেনারেল অফ মিলিটারি অপারেশন্স (ডিজিএমও) ভারতের ডিজিএমও-কে ফোন করেন। সেই ফোনালাপে দুই পক্ষ যুদ্ধবিরতিতে সম্মতি জানায়। সিদ্ধান্ত হয়, শনিবার বিকেল ৫টা থেকে স্থল, আকাশ ও সমুদ্র—সব ক্ষেত্রেই সামরিক অভিযান ও গুলি চালানো সম্পূর্ণ বন্ধ রাখা হবে।
এই যুদ্ধবিরতি নিয়ে ভারতের বিদেশসচিব বিক্রম মিসরি একটি সংক্ষিপ্ত সাংবাদিক বৈঠক করেন। জানান, উভয় দেশের সেনাবাহিনীকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ১২ মে ফের দুই দেশের ডিজিএমও-র মধ্যে আলোচনা হবে।
এই ঘোষণার পর বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। তিনি সন্ত্রাসবাদের (Terrorism) বিরুদ্ধে ফের আওয়াজ তোলেন। লেখেন, 'ভারত ও পাকিস্তান আজ গুলি চালানো ও সামরিক কার্যকলাপ বন্ধ রাখার বিষয়ে সমঝোতায় পৌঁছেছে। যে কোনও রকম সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারত। ভবিষ্যতেও সেই অবস্থান বজায় থাকবে।'
India and Pakistan have today worked out an understanding on stoppage of firing and military action.
— Dr. S. Jaishankar (@DrSJaishankar) May 10, 2025
India has consistently maintained a firm and uncompromising stance against terrorism in all its forms and manifestations. It will continue to do so.
ভারতের তরফে বারবার শান্তি বজায় রাখার বার্তা দেওয়া হলেও সীমান্তে উত্তেজনা কমছিল না। তবে অবশেষে দুই দেশের উচ্চ পর্যায়ের সেনা কর্তাদের আলোচনায় এই যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত গৃহীত হওয়ায় স্বস্তি মিলেছে কূটনৈতিক মহলে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই যুদ্ধবিরতির ফলে সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষজন স্বস্তি পাবে। স্বাভাবিক হবে জনজীবন। তবে, আগামিদিনে এই সমঝোতা কতটা কার্যকর হয়, সে দিকে নজর থাকবে আন্তর্জাতিক মহলের।