নরেন্দ্র মোদী
শেষ আপডেট: 10 May 2025 20:02
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আর সংঘাত নয়। ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতির (India-Pakistan Ceasefire) সিদ্ধান্ত হয়েছে। শনিবার বিকেল ৫টা থেকেই তা কার্যকর। এর অর্থ দুই দেশ একে অপরের বিরুদ্ধে আর হামলা করবে না। ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক এবং সেনা সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়েছে, পাকিস্তানের তরফেই যুদ্ধবিরতির আর্জি জানান হয়েছিল। নয়াদিল্লি সম্মতি প্রকাশ করেছে। সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) নিশ্চিত করে বলে দিয়েছিলেন যে, ভারতের শর্ত মতোই যুদ্ধবিরতি হবে, নাহলে নয়।
ভারতের পক্ষ থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে জানান হয়, শনিবার বিকেল ৩টা ৩০ মিনিটে পাকিস্তানের ‘ডিরেক্টর জেনারেল অফ মিলিটারি অপারেশনস’ (DGMO) ফোন করেন ভারতের ডিজিএমও-কে। এর পর দুই দেশের সম্মতিতে স্থির হয়, বিকেল ৫টা থেকে স্থল, জল ও আকাশপথে সমস্ত রকমের সামরিক অভিযান বন্ধ থাকবে। যুদ্ধবিরতির শর্ত কার্যকর করার জন্য দুই দেশই নিজের নিজের সশস্ত্র বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছে। এদিকে সূত্র মারফৎ জানা গেছে, এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল এবং বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তাতেই তিনি শর্তের বিষয়টি নিশ্চিত করে দেন।
ভারত পাকিস্তানের আর্জি মেনে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হবে, তবে নিজেদের শর্ত! এটাই স্পষ্ট বক্তব্য ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর সেই নির্দেশ মেনেই পাকিস্তানের আবেদনে সাড়া দিয়েছে ভারত। যদিও এটাও স্পষ্ট করা হয়েছে, যুদ্ধবিরতি হলেও সর্বদা সতর্ক রয়েছে ভারতীয় সেনা। পাকিস্তান যদি আবার কোনও রকম পদক্ষেপ নেয়, তার যোগ্য জবাব দেওয়া হবে। ভারত এও স্পষ্ট করেছে যে, কোনো ধরনের সন্ত্রাসবাদী হামলাকে ভবিষ্যতে ‘যুদ্ধ ঘোষণা’র সমান হিসেবে বিবেচনা করা হবে — এই নীতি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত হয়েছে বলেও সূত্রের খবর।
সরকারি সূত্রের দাবি, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল এবং বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর গত কয়েকদিন ধরে মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে টানা আলোচনায় ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীকে নিয়মিতভাবে অবহিত করা হচ্ছিল আলোচনার অগ্রগতি নিয়ে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, এদিন ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধবিরতির ঘোষণার কিছুক্ষণ আগেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সেটা ঘোষণা করে দেন। দাবি করেন, রাতভর তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে দু'পক্ষ।