শেষ আপডেট: 5th November 2024 19:46
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ঘরে ঢুকতেই পুলিশ বাকরুদ্ধ! মেঝেতে পড়ে রয়েছে চার-চারটি দেহ। এক মহিলা এবং তাঁর তিন সন্তানকে গুলি করে খুন করা হয়েছে। পুলিশ সেই সময়ে মনে করেছিল, মহিলার স্বামী এর পিছনে রয়েছে। তবে তাঁদের দেহ উদ্ধারের কয়েক ঘণ্টা পরই মহিলার স্বামীর দেহ উদ্ধার হয়। তাঁর শরীরেও গুলির আঘাত রয়েছে।
উত্তরপ্রদেশের বারাণসীর এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। একটি বাড়ি থেকে নীতু (৪৫) নামের এক মহিলা, তাঁর তিন সন্তান নবনেন্দ্র (২৫), গৌরঙ্গী (১৬) এবং শুভেন্দ্রা (১৫)-এর দেহ উদ্ধার হয়েছে। প্রত্যেককে গুলি করে খুন করা হয়েছে বলে অনুমান করছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে তাঁরা মনে করছে, মহিলার স্বামী রাজেন্দ্র গুপ্তা এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন। কিন্তু কয়েক ঘণ্টা পর তাঁর দেহ নিকটবর্তী একটি নির্মীয়মাণ বাড়ির কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে।
তাহলে কী গোটা পরিবারকে খুন করা হয়েছে? এমনটা অবশ্য মনে করছে না পুলিশ। তাঁদের সন্দেহ আগে পরিবারের সকলকে খুন করে ওই ব্যক্তি নিজে আত্মহত্যা করেছেন। প্রতিবেশীদের থেকে পুলিশ জানতে পেরেছে, দীর্ঘদিন ধরেই পরিবারের মধ্যে ঝামেলা চলছিল। তা থেকেই পরিস্থিতি এই জায়গায় এসেছে। তবে পুলিশের তরফে যে তথ্য দেওয়া হয়েছে তা বিস্ফোরক। খুনের অভিযোগে এক আগে জেলে গিয়েছিলেন রাজেন্দ্র! বর্তমানে জামিনে বাইরে ছিলেন।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, তাঁদের অনুমান যে সময়ে পরিবারের সদস্যরা ঘুমিয়ে ছিল সেই সময়ই তাঁদের গুলি করে খুন করা হয়েছে। কারণ বাড়ির ভিতর কোনও ধস্তাধ্বস্তি হয়েছে বা ভাঙচুর হয়েছে এমন প্রমাণ মেলেনি। পাশাপাশি পুলিশ একটি পিস্তলও উদ্ধার করেছে। এবার সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরে খুন নাকি এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
রাজেন্দ্র গুপ্তার ইতিহাস অনেককে নাড়িয়ে দেবে। পুলিশ জানিয়েছে, নিজের বাবা, ভাই এমনকী ভাইয়ের বউকে খুন করার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। এও জানা গেছে, নীতু রাজেন্দ্রর দ্বিতীয় স্ত্রী ছিল। তাঁর প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে কী হয়েছিল সেও কেউ জানে না। স্থানীয়দের থেকে জানা গেছে, গত ১ বছর ধরে বাড়ি আসেননি রাজেন্দ্র। দীপাবলির আগে আচমকাই ফিরেছিলেন। তাহলে কি এই খুনের সঙ্গে কোনও তান্ত্রিক যোগ রয়েছে, সে প্রশ্নও উঠেছে।