শেষ আপডেট: 19th October 2024 13:16
দ্য ওয়াল ব্যুরো: তামিলনাড়ুতে ফের রাজ্যপাল এন রবির সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিনের নতুন করে বিরোধ শুরু হয়েছে। তার জেরে দু’জনের মধ্যে ফের কথা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এমনকী উৎসবের শুভেচ্ছা বিনিময়ও করেননি তাঁরা। সুর চড়িয়ে দু’জনেরই পরস্পরকে ‘দেশ বিরোধী’ বলে আক্রমণ করেছেন।
রাজ্যপাল এন রবি শুক্রবার রাতে নজিরবিহীন আক্রমণ শানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীকে। বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রী স্ট্যালিন তামিলনাড়ুকে ভারতের থেকে আলাদা করার ছক কষেছেন। সেই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসাবেই তিনি তামিলনাড়ুকে হিন্দি মুক্ত করার পরিকল্পনা করেছেন।
অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রী স্ট্যালিনের রাজ্যপালের বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি তামিলনাড়ুর উপর হিন্দি চাপিয়ে দিতে চাইছেন। মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যপালের উপস্থিতিতে হওয়া হালে চেন্নাইয়ের একটি অনুষ্ঠান নিয়ে সরব হয়েছেন। সেখানে তামিলনাড়ুর রাজ্য গীত গাওয়ার সময় দ্রাবিড় শব্দটি উচ্চারণ করা হয়নি বলে অভিযোগ। তামিলনাড়ুর শাসক দল ডিএমকে-র অভিযোগ, রাজ্যপালকে সন্তুষ্ট করতেই দ্রাবিড় শব্দটি উচ্চারণ করা হয়নি। কারণ রাজ্যপাল আসলে দ্রাবিড় সংস্কৃতিকে হেন করতে চান।
ঘটনাচক্রে এই দুই ইস্যুকে হাতিয়ার করে রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রী পরস্পরকে দেশ বিরোধী বলেছেন। রাজ্যপালের মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণের কারণ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে লেখা স্ট্যালিনের শুক্রবারের চিঠি। তাতে তিনি অভিযোগ করেছেন, ভারত সরকার অ-হিন্দিভাষী রাজ্যগুলির উপর হিন্দি চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে।
চেন্নাইয়ে হিন্দি মাস উদযাপনের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে প্রধানমন্ত্রীকে এই চিঠি লেখেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর অফিস মুখ্যমন্ত্রীর চিঠির কোনও জবাব দেয়নি। কিন্তু রাজ্যপাল ওই চিঠির বক্তব্য নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করেছেন। বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রীর অন্ধ হিন্দি বিরোধিতা আসলে দেশ বিরোধী অবস্থান।
রবি আরও বলেছেন, আমি রাজ্যপালের দায়িত্ব নেওয়ার সময় রাজ্যে হিন্দি ভাষাকে হেয় করা হত। এখন পরিস্থিতি পাল্টে গিয়েছে। আমি স্কুল-কলেজে গেলে ছেলেমেয়েরা আমার সঙ্গে হিন্দিতে কথা বলে। এটাই সরকার মানতে পারছে না।
অন্যদিকে, রাজ্যপালের বিরুদ্ধে বহুদিন ধরেই দ্রাবিড় তথা তামিল সংস্কৃতিকে হেয় করার অভিযোগ করে আসছেন রাজ্যপাল। দু বছর আগে বিধানসভায় রাজ্যপালের ভাষণে তামিল বন্দনা সংক্রান্ত গানের অংশ রাজ্যপাল পাঠ না করায় বিতর্ক তৈরি হয়। রাজ্যপালের ভাষণ যথারীতি রাজ্য সরকার লিখে দিয়েছিল।
বিহারের ভূমিহার-ব্রাহ্মণ পরিবারে সন্তান রবি একজন অবসর প্রাপ্ত আইপিএস অফিসার। অবসরের আগে তিনি সিবিআই এবং আইবি বা ভারতীয় গোয়েন্দা বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ পদে চাকরি করেছেন।