শেষ আপডেট: 12th November 2024 10:04
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মহারাষ্ট্র বিধানসভার ভোটে মুসলিম প্রার্থীর সংখ্যা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। ওই সমাজের অনেকেই অভিযোগ করেছেন, মুসলিম প্রার্থী নিয়ে সব দলই কম-বেশি বিজেপির পথে হাঁটছে। বিজেপি এবারও কোনও মুসলিমকে টিকিট দেয়নি। কংগ্রেস, এনসিপি এবং শিবসেনাও নামমাত্র কয়েকজন মুসলিমকে প্রার্থী করেছে।
মহারাষ্ট্রে আগামী ২০ নভেম্বর এক দফায় ভোট গ্রহণ করা হবে। দেখা যাচ্ছে, রাজ্য বিধানসভার ২৮৮টির মধ্যে অর্ধেকের বেশি, ১৫০টি আসনে মুসলিম প্রার্থী নেই। কোনও দলই ওই আসনগুলিতে মুসলিমদের প্রার্থী করেনি।
তবে ছোট দলগুলি তুলনায় সংখ্যালঘুদের বেশি সংখ্যায় প্রার্থী করেছে। তারা মোট ১৫০জন মুসলিমকে ময়দানে নামিয়েছে। সবচেয়ে বেশি মুসলিম প্রার্থী আসাউদ্দিন ওয়েইসির এআইএমআইএমের। অজিত পাওয়ারের এনসিপি পাঁচজন মুসলিমকে প্রার্থী করেছে।
রাজ্যের ২৮৮ আসলে লড়াইয়ের ময়দানে আছেন মোট চার হাজার ১৩৬জন প্রার্থী। তাঁদের মধ্যে মুসলিম ৪২০ জন। তাঁদের ২৫০জনই নির্দল। প্রথমসারির দলগুলির মধ্যে সবচেয়ে বেশি মুসলিম প্রার্থী আছে কংগ্রেসের। হাত শিবির নয়জন মুসলিমকে ময়দানে নামিয়েছে।
মহারাষ্ট্রে মুসলিমরা সংখ্যায় এক কোটি ৩০ লাখের সামান্য বেশি, যা রাজ্যের মোট জনসংখ্যার ১১ শতাংশ। তবে রাজ্যের ৩৫টি জেলার কোনওটিতেও ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা সংখ্যাগুরু নয়।
মুসলিমদের প্রার্থী না করার সেটাই কি কারণ? রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মত, ১৯৯২ সালের আগে পর্যন্ত মুসলিম প্রার্থীর সংখ্যা যথেষ্ট বেশি থাকত রাজ্যে। সব দলই সংখ্যালঘুদের প্রার্থী করত। ওই বছর বাবরি মসজিদ ধ্বংসের ঘটনাকে কেন্দ্র করে মুম্বই-সহ মহারাষ্ট্রের একাধিক জেলায় দাঙ্গার পর রাজ্যে মুসলিমদের প্রার্থী না করার প্রবণতা বেড়েছে। বিশেষ করে বন্দর মাফিয়া দাউদ ইব্রাহিমের বাহিনীর দাঙ্গায় হাত থাকার বিষয়টি স্পষ্ট হওয়ার পর সামনে আসে তাদের রাজনৈতিক যোগ। কম-বেশি সব দলের নেতাদের দিকেই দাউদকে মদত করার অভিযোগ ওঠে। তার প্রতিক্রিয়ায় ভোটে মুসলিমদের প্রার্থী করাতে সব দলই হ্রাস টেনে দেয়। বিজেপি এই ব্যাপারে সবচেয়ে এগিয়ে। তারা বহু বছর মুসলিমদের প্রার্থী করা বন্ধ করে দিয়েছে।