শেষ আপডেট: 12th December 2024 19:51
দ্য ওয়াল ব্যুরো: স্ত্রী এবং শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে পাহাড়প্রমাণ অভিযোগ করে ২৪ পাতার নোট লিখে সোমবার আত্মঘাতী হন বেঙ্গালুরুর সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার অতুল সুভাষ। এই ঘটনায় এখন তোলপাড় চলছে দেশে। হাওয়া গরম বুঝে, কর্নাটক থেকে পালালেন অতুলের শাশুড়ি ও শ্যালক। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁদের পৈত্রিক বাড়ি রয়েছে উত্তরপ্রদেশের জৌনপুরে। পালিয়ে সেখানেই গিয়েছেন তাঁরা। উত্তরপ্রদেশ পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছে কর্নাটক পুলিশ।
অতুল সুভাষ উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। বেঙ্গালুরুতে ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। আত্মহত্যা করার আগে ২৪ পাতার নোট লেখেন তিনি। তাতে স্ত্রী এবং তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে প্রচুর অভিযোগ করেছেন। দাবি করেন, তাঁর বিরুদ্ধে ৯টি ভুয়ো মামলা দায়ের করা হয়েছিল। পাশাপাশি ছেলের সঙ্গে দীর্ঘ বছর ধরে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছিল না। এমনকী ৪ বছরের ছেলেকে হাতিয়ার করে তাঁর থেকে টাকাও নিচ্ছিলেন স্ত্রী।
চিঠিতে করা অভিযোগের ভিত্তিতে ওই যুবকের স্ত্রী নিকিতা সিংঘানিয়া, মা নিশা সিংঘানিয়া, ভাই অনুরাগ ও কাকা সুশীলের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়। তারপরই কর্নাটক থেকে পালানোর সিদ্ধান্ত নেয় ওই পরিবার।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রাত ১ টা নাগাদ নিশা, তাঁর ছেলে অনুরাগকে নিয়ে একটি মোটর সাইকেলে করে বাড়ি থেকে বের হন। তারপর থেকে আর ফেরেননি। জৌনপুর পুলিশ জানিয়েছে, কর্নাটক থেকে তাঁরা কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। তথ্য পেলে পদক্ষেপ করা হবে।
কোতোয়ালি থানার পুলিশ অবশ্য জানিয়েছেন, গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়নি এই ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে। তাঁরা বাড়ি ছাড়তে পারবেন না, এমন কোনও নির্দেশও ছিল না।
এদিকে আদালতে অতুলের আইনজীবী জানিয়েছেন, ছেলের জন্য ৪০ হাজার টাকা করে প্রতি মাসে দিতে হবে, এমন কোনও নির্দেশের চ্য়ালেঞ্জ জানিয়ে তথ্য প্রযুক্তি কর্মী কোনও আইনি সহায়তা নেননি।