কপিল সিবাল ও বিচারপতি শেখরকুমার যাদব।
শেষ আপডেট: 13 December 2024 09:37
দ্য ওয়াল ব্যুরো: এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি শেখরকুমার যাদবের বিরুদ্ধে প্রত্যাশামতোই ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব আনা হল রাজ্যসভায়। শুক্রবার রাজ্যসভার মহাসচিবের কাছে বিচারপতির বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব জমা দেন বিরোধী সদস্যরা। সভায় ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব আনতে হলে ৫০ জন এমপি-র স্বাক্ষর প্রয়োজন হয়। এদিন ৫৫ জন সদস্যের স্বাক্ষরিত ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব জমা দেওয়া হয়। একটি অনুষ্ঠানে বিচারপতি শেখর যাদব হিন্দু-মুসলমান নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন বলে এর আগেই সুপ্রিম কোর্ট এলাহাবাদ হাইকোর্টের জবাব তলব করেছিল।
এমপি কপিল সিবালের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধিদল এই ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব জমা দেয়। গত রবিবার প্রয়াগরাজে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের একটি সভায় বিচারপতি শেখর যাদব বিতর্কিত মন্তব্য করেন বলে প্রস্তাবে অভিযোগ তোলা হয়েছে। বিচারপতি যাদবের বক্তব্যকে উত্তেজনা সৃষ্টিকারী, পক্ষপাতদুষ্ট এবং সরাসরি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে নিশানা করে বলা হয়েছে বলে অভিযোগ।
বিচারপতি যাদবের রবিবারের ভাষণ উল্লেখ করে প্রস্তাবে দাবি করা হয়েছে, উনি বলেছিলেন দেশ চলবে সংখ্যাগুরুদের ইচ্ছা অনুযায়ী। মুসলিম সম্প্রদায়কে বোঝাতে তিনি অশ্লীল শব্দও ব্যবহার করেছিলেন। সেই হিসাবে বিচারপতি হিসাবে শপথগ্রহণের সময় তিনি যা পাঠ করেছিলেন তা ভঙ্গ হয়েছে এমনকী সংবিধানের মূল নীতি-আদর্শ লঙ্ঘিত হয়েছে বলে অভিযোগ। তিনি এও বলেছিলেন, মুসলিম বাচ্চাদের কাছে সহনশীলতা বা ভদ্রতা আশা করা অনুচিত। কারণ তারা ছোট থেকেই চোখের সামনে পশুহত্যা করতে দেখে।
প্রস্তাবে আরও বলা হয়েছে, এ ধরনের বিভাজনমূলক ও পক্ষপাতদুষ্ট বিবৃতির কারণে বিচারপতি যাদব বিচার ব্যবস্থার প্রতি জনসাধারণের আস্থা হারিয়েছেন। রামজন্মভূমি নিয়ে তাঁর বক্তব্য স্পষ্টতই রাজনৈতিক ভাষণ। যা বিচার ব্যবস্থার স্বাধীনতাকে ক্ষুণ্ণ করে। ফলে মানুষ কীভাবে ন্যায়বিচারের আশায় আদালতের দ্বারস্থ হবে, যেখানে একজন বিচারপতিই ধর্মীয় পক্ষপাতদুষ্ট বক্তব্য রাখতে পারেন, প্রশ্ন তোলা হয়েছে প্রস্তাবে। সংবিধানের বিভিন্ন ধারায় বলা হয়েছে, কেউ বিচার ব্যবস্থার নীতিকে ক্ষুণ্ণ করলে, পক্ষপাতমূলক আচরণ এবং বিচার ব্যবস্থার প্রতি মানুষের বিশ্বাস হারানোর মতো কাজ করলে তাঁকে অপসারিত করা যায়।