শেষ আপডেট:
দ্য ওয়াল ব্যুরো: রাতের ডিউটিতে যাওয়ার সময় মহিলা ডাক্তাররা সঙ্গে করে অস্ত্র নিয়ে যাওয়ার কথা ভাবছেন। ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় এই কঠিন বাস্তব ধরা পড়েছে। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, এক-তৃতীয়াংশ ডাক্তার যাঁদের মধ্যে অধিকাংশই মহিলা, তাঁরা রাতের শিফটে কাজ করতে ভয় পাচ্ছেন। তাঁদের কেউ নিরাপত্তাহীনতা, কেউবা ভীষণ বিপজ্জনক বলে মতপ্রকাশ করেছেন।
প্রায় ৩৮৮৫ জন ডাক্তারের সাক্ষাৎকার নিয়ে সমীক্ষাটি প্রস্তুত করা হয়েছে। তাতে প্রকাশ পেয়েছে ৪৫ শতাংশ ডাক্তার জানিয়েছেন নাইট শিফটে ডিউটি রুম বলে কিছু থাকে না। ডিউটি রুমের সুযোগ বঞ্চিত তাঁরা। ভারতে এই ধরনের বৃহত্তম সমীক্ষায় প্রকাশ রাতে ডাক্তারদের বসার বা বিশ্রাম নেওয়ার কোনও ব্যবস্থা থাকে না। প্রসঙ্গত, আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ-হাসপাতালে ডাক্তার-ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনার পর এই সমীক্ষাটি করা হয়েছে।
এই সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের ৮৫ শতাংশ ডাক্তার হলেন ৩৫ বছরের নীচে। ৬১ শতাংশ হলেন শিক্ষানবীশ অথবা স্নাতকোত্তর পড়ুয়া। ৬৩ শতাংশ মহিলা চিকিৎসককে নমুনা হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে সমীক্ষায়। সমীক্ষায় ধরা পড়েছে, ২৪.১ শতাংশ ডাক্তার রাতে কাজ করার ব্যাপারে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এবং ১১.৪ শতাংশ অত্যন্ত নিরাপত্তাহীনতা বোধ করছেন। সব মিলিয়ে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ ডাক্তার রাতে কাজ করাকে ঝুঁকি বলে ধরে নিয়েছেন। এর মধ্যে বেশিরভাগই হলেন মহিলা।
তাঁরা সমীক্ষক দলকে জানিয়েছেন, পর্যাপ্ত ডিউটি রুম থাকে না। থাকলেও সেখানে এতজন থাকে বসার জায়গা থাকে না। ডিউটি রুমে কোনও গোপনীয়তা নেই। এমনকী নিজস্ব লকার বলে কিছু থাকে না, থাকলেও তার চাবি উধাও। তাই ডাক্তারদের প্রায়শই বিকল্প জায়গায় বিশ্রাম নিতে চলে যেতে হয়। শুধু তাই নয়, এক-তৃতীয়াংশ ডিউটি রুমে সংলগ্ন শৌচাগার নেই।
অর্ধেকের বেশি (৫৩ শতাংশ) ডিউটি রুম ওয়ার্ড কিংবা ক্যাজুয়ালটি বিভাগের থেকে অনেক দূরে হয়। সংলগ্ন বাথরুম না থাকায় ডাক্তারদের বিশেষ করে মেয়েদের বেশ দূরে কোথাও বিকল্প ব্যবস্থার জন্য একলা যেতে হয়। সমীক্ষাকারীদের ডাক্তাররা বলেছেন, প্রশিক্ষিত নিরাপত্তা রক্ষী প্রয়োজন, পর্যাপ্ত সিসিটিভি, প্রচুর আলো, সেন্ট্রাল প্রটেকশন অ্যাক্ট প্রয়োগ, বহিরাগতদের প্রবেশ বন্ধ, অ্যালার্ম বা বিপদঘন্টি বসানো এবং তালাচাবিসহ ডিউটি রুম।