শেষ আপডেট: 4th September 2024 17:36
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে যে নৃশংস ঘটনা ঘটেছে তার আঁচ পড়েছে সারা দেশে। শুধু কলকাতা বা পশ্চিমবঙ্গ নয়, গোটা দেশের বিভিন্ন জায়গার ডাক্তার, স্বাস্থ্য কর্মীরা এই ঘটনার প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছেন, কর্মবিরতি করছেন। সুপ্রিম কোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে এই ঘটনার বিচার করছে। বিচারপতিরাও চিকিৎসকদের পরিষেবা স্বাভাবিক করার আর্জি জানিয়েছিলেন। কিন্তু এখনও তা আগের মতো হয়নি। এই অবস্থায় ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ) প্রতিবাদী ডাক্তারদের আবারও বার্তা দিল।
'বিচারের বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের ওপর ছেড়ে দিন। আস্থা রাখুন শীর্ষ আদালতের ওপর। আপনারা কাজে ফিরুন।' আইএমএ প্রেসিডেন্ট আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের কাজে ফেরার বার্তা দিয়ে এই কথাই বলেছেন। তাঁর বক্তব্য, ''আরজি করের ঘটনায় গোটা চিকিৎসা ব্যবস্থা নড়ে গেছে। যারা আন্দোলন করছেন তাঁদের দাবি একশো শতাংশ ন্যায্য। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট নিজে বলেছে তাঁদের ওপর ভরসা রাখতে। বিচারের বিষয়টি তাঁদের ওপর ছেড়ে দিতে। তাই আমাদেরও এই বিষয়টিকে সম্মান জানানো উচিত। সব ডাক্তারদের নিজ নিজ কাজে ফেরা উচিত এবং বিচারের দিকটি শীর্ষ আদালতের ওপরই ছেড়ে দেওয়া উচিত।''
আইএমএ আরও বলছে, আরজি করের ঘটনায় চিকিৎসক বা স্বাস্থ্যকর্মীদের ক্ষোভ প্রকাশ, ভয় পাওয়া সবই স্বাভাবিক। যেভাবে পাশবিক অত্যাচার করে তরুণী চিকিৎসককে খুন করা হয়েছে তার ভয়াবহতা সকলের মনে গেঁথে গেছে। গোটা দেশের সব পরিবারই ওই তরুণীকে নিজের মেয়ে বলে মেনে নিয়ে এই আন্দোলন করছে। কিন্তু তার জন্য চিকিৎসা পরিষেবা বন্ধ হয়ে থাকতে পারে না। এই দিকটাও সকলের খেয়াল রাখা উচিত। কারণ বহু মানুষ চিকিৎসা পরিষেবা পাচ্ছে না, তাঁদের সমস্যা হচ্ছে। তাই সুপ্রিম কোর্টকে সম্মান দিয়ে প্রতিবাদী ডাক্তারদের কাজে ফিরতে হবে বলে বার্তা আইএমএ-র।
আরজি কর নিয়ে বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে রিপোর্ট জমা দেবে সিবিআই। তদন্তভার হাতে নেওয়ার পর এবং হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করার পর প্রথম স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দেবে। তাহলে এই রিপোর্টে কি কোনও 'বড় নাম' থাকবে? জল্পনা বাড়ছে।
গত ১৩ অগস্ট আরজি কর হাসপাতালের তদন্তের ভার গ্রহণ করেছে সিবিআই। তার পর থেকে ২২ দিন অতিবাহিত। কিন্তু খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় কলকাতা পুলিশ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যে সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করেছিল, তাকে বাদ দিয়ে সিবিআই এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার বা আটক করেনি। সন্দীপ ঘোষ ও আরও তিনজন আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে ভিত্তিতে গ্রেফতার হয়েছেন, খুন ও ধর্ষণের ঘটনা সূত্রে নয়। তাই জুনিয়র ডাক্তাররা কার্যত হতাশ। এখন দেখার সিবিআই রিপোর্টে কী থাকে।