শেষ আপডেট: 9th August 2024 20:37
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বাংলাদেশের পদত্যাগী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারতে আশ্রয় দেওয়া নিয়ে ঢাকায় উত্তাপ বাড়ছে। শুক্রবার এ ব্যাপারে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বেগম খালেদা জিয়ার পার্টি বিএনপি। তাদের সাফ কথা, ভারত বাংলাদেশের সম্পর্ক শুধু আওয়ামি লিগের উপর নির্ভরশীল নয়। নয়াদিল্লি শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিলে খুব স্বাভাবিকভাবেই বাংলাদেশে তার প্রতিক্রিয়া হবে।
তাঁর কথায়, আমি যদি কাউকে অপছন্দ করি, আর দেখি তাঁকে কেউ সমর্থন করছেন, তাহলে সেই তৃতীয় ব্যক্তির প্রতিও আমার একটা বিতস্পৃহা তৈরি হবে। এক্ষেত্রেও তাই হচ্ছে।
বিএনপি নেতা খন্দকর মোশারফ হোসেন বলেন, “ভারত বাংলাদেশের জন্য বরাবরই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের নতুন এক অধ্যায় রচনার সময় এসে গিয়েছে।”
বাংলাদেশে সদ্য অন্তবর্তী সরকার তৈরি হয়েছে। সেই সরকারের প্রতি শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সে ব্যাপারে ধন্যবাদ জানিয়ে মোশারফ বলেন, প্রধানমন্ত্রী মোদীর অভিনন্দনকে সাগ্রহে গ্রহণ করছি। সেই সঙ্গে আশা করছি যে ভারত আওয়ামি লিগ ও শেখ হাসিনাকে সমর্থন দেওয়া বন্ধ করবে। ভুলে গেলে চলবে না, বাংলাদেশে তাঁর বিরুদ্ধে গণ অভ্যুত্থানের কারণে হাসিনাকে দেশ ছেড়ে পালাতে হয়েছে।
বিএনপি-র অপর এক নেতা আবদুল আওয়াল মিন্টু আবার বলেছেন, শেখ হাসিনা পালিয়ে ভারতে না গেলেই ভাল করতেন। কারণ, ভারত ও বাংলাদেশের মানুষ পারস্পরিক সুসম্পর্ক রক্ষা করে চলতে চায়। বাংলাদেশের মানুষ ভারতবাসীদের বন্ধু হিসাবেই দেখে।
বাংলাদেশের এই ভাবাবেগ যে নয়াদিল্লি বুঝতে পারছে না তা নয়। বরং সাউথ ব্লকের কাছেও পরিষ্কার যে বাংলাদেশের অন্তর্বতী সরকারের সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখে চলতে গেলে শেখ হাসিনাকে বেশিদিন ভারতে রাখা ঠিক হবে না। তা ছাড়া বাংলাদেশ হল পড়শি। তাই যে কোনও অবস্থায় পড়শির সঙ্গে ভাল সম্পর্ক রেখে চলাই কূটনীতিতে দস্তুর।
কিন্তু মুশকিল হল, শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে নয়াদিল্লির সম্পর্ক কালোত্তীর্ণ। তাই হাসিনার যথাযথ পুনর্বাসন বা আশ্রয়ের ব্যবস্থা না করা পর্যন্ত নয়াদিল্লিও হাত তুলে নিতে পারছে না। তবে সাউথ ব্লক সূত্রে বলা হচ্ছে, অচিরেই এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।