শেষ আপডেট: 20th May 2024 20:59
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বিশ্বব্যাপী করোনা অতিমারিকে ঠেকাতে ভ্যাকসিনই ভরসা ছিল। সেই কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন কোভিশিল্ডেই বিরল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া! অ্যাস্ট্রাজেনেকা সংস্থার তৈরি কোভিশিল্ড টিকা যারা নিয়েছিলেন, এই খবর জানার পর তাদের রাতের ঘুম উড়েছে। আর অ্যাস্ট্রাজেনেকা যখন অভিযোগের দায় স্বীকার করল তখন গোটা বিশ্ব জুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতির মধ্যেই দেশে তৈরি করোনা টিকা কোভ্যাক্সিনের ‘দীর্ঘমেয়াদি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া’-র দাবি ঘিরে বিতর্ক তুঙ্গে। কিন্তু গবেষকদের সেই দাবিকে উড়িয়ে দিল ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ তথা আইসিএমআর।
বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, কোভ্যাক্সিন টিকা নেওয়া ৯২৬ জনের মধ্যে পরীক্ষা চালিয়ে দেখা গিয়েছে তাঁদের এক-তৃতীয়াংশই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার শিকার হয়েছেন। অনেকেরই স্ট্রোক হয়েছে। কেউ কেউ আবার ভয়ঙ্কর নার্ভের অসুখে ভুগেছেন। তাছাড়াও অনেকের শরীরে চর্মরোগ, রক্ত জমাট, মহিলাদের ঋতুস্রাবজনিত নানা সমস্যা দেখা গিয়েছে।
এদিকে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই অধ্যাপকের লেখা গবেষণাপত্রকে উড়িয়ে দিয়েছে আইসিএমআর। তাদের দাবি, ওই গবেষণাপত্রের পর্যবেক্ষণে ‘ভুল মেথডোলজি’ রয়েছে। আইসিএমআরের ডিরেক্টর জেনারেল রাজীব বহেল জানিয়েছেন, যেহেতু টিকা না নেওয়া ব্যক্তিদের তথ্যের সঙ্গে যথাযথ তুলনা করা হয়নি, তাই ওই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াকে কোনওভাবেই কোভিড-১৯ টিকা তথা কোভ্যাক্সিন টিকার সঙ্গে যুক্ত করা যায় না।
তাঁর আরও দাবি, একতরফা তথ্য সংগ্রহ করে গবেষকেরা কোভ্যাক্সিন নেওয়া ব্যক্তিদের দেহে দীর্ঘমেয়াদি প্রতিক্রিয়ার কথা বলেছেন। তাঁরা নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে কোভ্যাক্সিন না নেওয়া ব্যক্তিদের থেকে কোনও তথ্য সংগ্রহ করেননি।
ইতিমধ্যে এই নিয়ে বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষমাপ্রার্থনার দাবি জানিয়েছে আইসিএমআর। এদিকে কোভ্যাক্সিন নির্মাতা ভারত বায়োটেকও এই গবেষণা নিয়ে মুখ খুলেছে। অন্যান্য বহু গবেষণাপত্রের উল্লেখ করে সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, তাদের তৈরি টিকার ট্র্যাক রেকর্ড সম্পূর্ণ নিরাপদ।