শেষ আপডেট: 22nd July 2024 12:03
দ্য ওয়াল ব্যুরো: পূজা খেদকারকে নিয়ে চর্চা এখনও বহাল। ভুয়ো নথি জমা দিয়ে নিজেকে 'বিশেষভাবে সক্ষম' প্রমাণ করে তিনি আইএস হয়েছেন বলে অভিযোগ। খোদ ইউপিএসসি তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। এই পরিস্থিতির মধ্যে অন্য এক আইএএস অফিসার 'বিশেষভাবে সক্ষম'দের নিয়ে সংরক্ষণেরই কার্যত বিরোধিতা করলেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর পোস্ট ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি করেছে।
তেলঙ্গানা ফিনান্স কমিশনের মেম্বার সেক্রেটারি আইএএস অফিসার স্মিতা সবরওয়াল 'বিশেষভাবে সক্ষম'দের নিয়ে একটি বিতর্কিত পোস্ট করেছেন। তিনি লিখেছেন, ''বিশেষভাবে যারা সক্ষম তাদের সম্মান দিয়েই বলছি, কখনও দেখেছেন কোনও বিমান সংস্থা আপনাদের মতো কাউকে পাইলট নিযুক্ত করেছে? কিংবা কেউ বিশেষভাবে সক্ষম কোনও সার্জেনকে কি বিশ্বাস করবেন অপারেশনের আগে? তাহলে আইএএস, আইপিএস অফিসার নিয়োগের ক্ষেত্রে এই সংরক্ষণের যৌক্তিকতা কী আছে? এই কাজে শারীরিক সক্ষমতা প্রয়োজন কারণ ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাজ করতে হবে, বাইরে বাইরে যেতে হবে।''
As this debate is blowing up-
— Smita Sabharwal (@SmitaSabharwal) July 21, 2024
With all due respect to the Differently Abled. ????
Does an Airline hire a pilot with disability? Or would you trust a surgeon with a disability.
The nature of the #AIS ( IAS/IPS/IFoS) is field-work, long taxing hours, listening first hand to…
স্মিতার এই পোস্ট একাধিকজন শেয়ার করে তাঁকে চরম কটাক্ষ করেছেন। কেউ বলছেন তিনি অহংকারী হয়ে গেছেন। আবার কারও মতে, একজন আইএএস অফিসারের কাছ থেকে এই ধরনের আচরণ সত্যিই কষ্ট দেয়। শিবসেনার রাজ্যসভার সাংসদ প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী বলছেন, ''একজন আইএএস অফিসার এই ধরনের মানসিকতা দেখালে সেটা বেদনাদায়ক। তবে বিষয়টি খুবই আশ্চর্যের যে এত বড় পদে থাকার পরও তাঁরা কেমন ছোট মানসিকতার পরিচয় দিচ্ছেন।''
ট্রেনি আইএএস অফিসার পূজা খেদকারের বিষয় নিয়েও কয়েকদিন আগে মুখ খুলেছিলেন স্মিতা। ইউপিএসসি তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার পরই স্মিতার বক্তব্য ছিল, আবার আইএএস, আইপিএস অফিসারদের প্রতি মানুষের বিশ্বাস ফিরে আসবে। তিনি আশা করছেন, এই সমস্যা পরবর্তীকালে আর দেখা দেবে না। একই সঙ্গে, ভবিষ্যতে নথি যাচাইয়ের ক্ষেত্রে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
যে স্মিতা সবরওয়ালকে নিয়ে এই বিতর্ক তিনি আদতে বাংলার মেয়ে। দার্জিলিংয়ে জন্মেছিলেন তিনি। মাত্র ২২ বছর বয়সে ইউপিএসসি-তে সাফল্য পেয়ে দেশের কনিষ্ঠতম মহিলা আইএএস অফিসার হয়েছিলেন তিনি।
জাল রেশন কার্ড, ভুল বাড়ির ঠিকানা এবং 'বিশেষভাবে সক্ষম' হওয়ার নকল সার্টিফিকেট জমা দিয়ে পূজা পরীক্ষায় পাশ করার সুযোগ নিয়েছেন এবং পরবর্তী সময়ে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে আইএএস অফিসার হিসেবে চাকরি পেয়েছেন বলেই অভিযোগ। ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন বা ইউপিএসসি জানিয়েছে, পূজা খেদকারের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তা তারা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে খতিয়ে দেখছে। এই নিয়ে ইতিমধ্যে তাঁর বিরুদ্ধে মামলাও করা হয়েছে। সেই প্রেক্ষিতে বলা যায়, দুর্নীতি প্রমাণ হলে চাকরি চলে যাবে পূজার।