শেষ আপডেট: 26th November 2024 13:59
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বিষ বাষ্পে ভরে গেছে রাজধানী শহর। সময় যত গড়াচ্ছে ধীরে ধীরে পরিস্থিতি উন্নত হওয়া তো দূর, অবনতির দিকে যাচ্ছে। কৃত্রিম বৃষ্টি হোক বা ওড-ইভেন ফর্মুলায় গাড়ির গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ, কিছুতেই বাগে আনা যাচ্ছে না দূষণ। ইতিমধ্যে বায়ু দূষণের সূচক চারশো ছাড়িয়ে গেছে বলে খবর। এমন আবহে সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি স্কুলগুলিকে বিশেষ নির্দেশ আম আদমি পার্টি সরকারের।
মঙ্গলবার পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, যতদিন না পুরোপুরি দূষণ কমছে, ততদিন 'হাইব্রিড' মডেলে চলবে দিল্লির সমস্ত স্কুল। শুধু অনলাইন নয়, স্কুলেও যাতে পড়ুয়ারা গিয়ে ক্লাস করতে পারে সে ব্যবস্থাও করতে হবে। জানা গেছে, কেন্দ্রের দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ বা সিএকিউএম দূষণ পরিস্থিতি নিয়ে গ্রিন সিগন্যাল দিয়েছে। তারপরই অনলাইন ও অফলাইন দুই সিস্টেমেই স্কুলে পঠনপাঠন চালুর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
দূষণের কারণে অক্টোবর মাস থেকেই স্কুলগুলি অনলাইনে পঠনপাঠন চালু করেছে। অনলাইন ক্লাস হওয়ার কারণে অনেক পড়ুয়া ঠিকমতো লেখাপড়ার সুযোগ পাচ্ছে না বলে অভিযোগ। পাশাপাশি মিড ডে মিলের সুবিধা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে পড়ুয়ারা। বিষয়টি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টেও গড়ায় মামলা।
সোমবার দেশের শীর্ষ আদালত কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন কমিশন ফর এয়ার কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্টের কাছে জানতে চায় কবে থেকে পড়ুয়ারা সশরীরে স্কুলে গিয়ে ক্লাস শুরু করতে পারবে? উত্তরে সিএকিউএম জানিয়ে দেয়, অফলাইনে ক্লাস শুরু করতে এখন আর কোনও সমস্যা নেই। দ্বাদশ শ্রেণি অবধি সব ক্লাস অফলাইনে চালু করা যাবে।
শুধু অফলাইনে নয়, যাদের অনলাইনে ক্লাস করানোর সুযোগসুবিধা আছে সেখানে সেই পদ্ধতি মেনে ক্লাস করানো যাবে। দূষণের জেরে এখন স্কুলগুলি অনলাইনে ক্লাস করাচ্ছিল। কিন্তু শীর্ষ আদালত জানতে চায় এভাবে আর কতদিন? দিল্লির দূষণ পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে কেন্দ্রীয় সংস্থা জানায় ধীরেধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে। এরপরই অনলাইন ও অফলাইন সিস্টেমে স্কুল চালুর কথা জানিয়ে দিল দিল্লি সরকার। তবে কবে থেকে তা চালু হবে সেই দিনক্ষণ এখনও জানা যায়নি। তবে পড়ুয়াদের স্বাস্থ্যের কথা না ভেবে কেন এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হল? তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।