শেষ আপডেট: 4th January 2025 11:25
দ্য ওয়াল ব্যুরো: প্রবল শৈত্যপ্রবাহ, পার্বত্য এলাকায় তুষারপাত ও ঘন কুয়াশার জেরে সমগ্র উত্তর ভারতের জনজীবন বিপর্যস্ত। সবথেকে বিপদে পড়েছেন রেল ও বিমানযাত্রীরা। কলকাতা বিমানবন্দরে ৪০টি উড়ান দেরিতে ছেড়েছে এবং ৫টি বিমানের যাত্রা বাতিল করা হয়েছে। একই অবস্থা দিল্লিসহ চণ্ডীগড়, অমৃতসর, আগ্রা, শ্রীনগর বিমানবন্দরেরও। শনিবার নিয়ে পরপর দুদিন জমাট কুয়াশার জেরে দিল্লিগামী ও দিল্লি থেকে ছাড়া ট্রেন ও বিমান সহ পাঞ্জাব, কাশ্মীর, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশের বিস্তীর্ণ অংশ, বিহার জুড়ে ছেয়ে রয়েছে কুয়াশা। শনিবার রাজধানী দিল্লিতে সকালই হয়েছে ঘন অন্ধকারের মতো কুয়াশায় ঢেকে। কুয়াশার কারণে দৃশ্যমানতা নেমে যাওয়ায় প্রায় ৩৬০টি উড়ান চলাচলে বিঘ্ন ঘটেছে।
হরিয়ানার হিসারে কুয়াশায় পথ দেখতে না পেয়ে শনিবার ভোরে দুর্ঘটনায় চারজনের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সুরেওয়ালা চকে একটি গাড়ি সোজা দেওয়ালে গিয়ে ধাক্কা মারে। তারপরই একের পর এক গাড়ি ওই গাড়িটির পিছনে ঠোক্কর মারতে শুরু করে। তারই পিছনে ছিল একটি ট্রাক। যার চালক সজোরে ব্রেক কষলে ট্রাকটি উল্টে যায়, এবং ঘটনাস্থলেই চারজনের মৃত্যু হয়।
শনিবার সকালে দিল্লি বিমানবন্দরের দৃশ্যমানতা শূন্যে নেমে এসেছিল। যার জেরে অনেকগুলি উড়ান সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয়, ফলে দেরিতে ছাড়ে বেশি কিছু বিমান। এছাড়াও বেশকিছু বিমানকে অন্যত্র ঘুরিয়ে দিতে হয়। প্রায় ৩৬০টির বেশি বিমান দেরিতে ছেড়েছে। ৪০টি বিমান বাতিল করা হয়েছে। শুক্রবার রাত সওয়া ১২টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত ১৫টি উড়ান দিল্লিতে নামতে না পারায় ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। এদিন দিল্লির পালাম বিমানবন্দরে দৃশ্যমানতা ছিল শূন্য, সফদরজঙ্গে শূন্য, শ্রীনগরে ১০০ মিটার, অমৃতসরে শূন্য, চণ্ডীগড় শূন্য, গোয়ালিয়রে শূন্য, পাটনায় ১০০ মিটার, খাজুরাহোতে ৫০ মিটার।