শেষ আপডেট: 5th February 2024 21:41
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কেন্দ্রীয় এজেন্সির নিরপেক্ষতা নিয়ে বারে বারে সরব হয়েছে বিরোধীরা। তৃণমূল, কংগ্রেস, আমআদমি পার্টি-সহ একাধিক রাজনৈতিক দলগুলির অভিযোগ, বিজেপি বিরোধী রাজ্যগুলিতে ক্ষমতাসীন সরকারকে 'জব্দ' করতে ইডি, সিবিআইয়ের মতো কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে লেলিয়ে দিচ্ছে বিজেপি। মিথ্যে অভিযোগে গ্রেফতার করা হচ্ছে বিরোধী দলের নেতা-মন্ত্রীদের।
বিরোধীদের এই অভিযোগের মাঝেই সোমবার লোকসভায় বাজেট অধিবেশনের জবাবি ভাষণে ইডির প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর আমলে ইডি কতটা ‘কাজের’, সেই হিসাব তুলে ধরলেন প্রধানমন্ত্রী।
পরিসংখ্যান তুলে ধরে মোদীর দাবি, “অতীতে কংগ্রেস আমলে পিএমএলএ-তে (আর্থিক তছরুপ বিরোধী আইন) ইডি পাঁচ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছিল। আর আমাদের কার্যকালে ইডি এক লক্ষ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে।”
এরপরই চোয়াল শক্ত করে প্রধানমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি, ‘‘দেশকা লুটা হুয়া মাল দেনা হি পড়েগা।’’ অর্থাৎ দেশের টাকা লুঠ করে কেউ পার পাবেন না ফেরত দিতেই হবে।
এই কথা বলার সময় কংগ্রেসের দলনেতা তথা মুর্শিদাবাদের সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরীর দিকে তাকিয়ে মোদীকে বলতে শোনা যায়, “অধীরবাবু তো বাংলা থেকে এসেছেন। বাংলায় টাকার স্তূপ দেখেছেন!”
প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ততে নেমে ২০২২ সালের ২২ জুলাই রাজ্যের তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছিল ইডি। পার্থের ‘ঘনিষ্ঠ’ বান্ধবী অর্পিতার টালিগঞ্জ এবং বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে নগদ প্রায় ৫০ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করেছিলেন তদন্তকা্রীরা। পরে আরও একাধিক নেতা, মন্ত্রী, বিধায়কের বাড়ি থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করেছেন তদন্তকারীরা।
আলাদা করে কারও নামোল্লেখ না করে মোদী বলেন, “ইডি সক্রিয় রয়েছে বলেই এই টাকার পাহাড় উদ্ধার হয়েছে।”
মোদীর দাবি, "কংগ্রেস আমলে ইডিকে কাজ করতে দেওয়া হত না। এখন ইডি স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে বলেই দুর্নীতির এত কালো টাকা উদ্ধার হচ্ছে।"