শেষ আপডেট: 3rd February 2025 19:59
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি দিল্লি বিধানসভা নির্বাচন। তার ঠিক দু'দিন আগে আম আদমি পার্টি সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল কার্যত মেনে নিলেন যে, দিল্লিতে আগের থেকে দলের আসন কমবে! একই সঙ্গে তাঁর অনুমান, আপের ভাল-খারাপ ফল অনেকটাই নির্ভর করবে মহিলা ভোটারদের ওপর।
গত দুই বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি এবং কংগ্রেসকে কার্যত দাঁড়াতে দেয়নি আম আদমি পার্টি। ২০১৫ সালে তাঁরা পেয়েছিল ৭০-এর মধ্যে ৬৭টি আসন। আর ২০২০ সালে তা একটু কমে হয়েছিল ৬২টি। তবে চলতি বছর সেই সংখ্যা ৫০-এর ঘরে চলে আসবে বলে নিজেই মনে করছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
নির্বাচনের মুখে মহিলাদের আরও বেশি করে ভোট দিতে উৎসাহিত করার চেষ্টা করেছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তাঁর কথায়, এবারের ভোটে আপ ৫৫টি আসন পেতে পারে। কিন্তু মহিলারা যদি বেশি করে ভোট দিতে বের হন, যদি এবং তাদের পরিবারের পুরুষদেরও আপকে ভোট দিতে রাজি করাতে পারেন, তাহলে তাঁর দল ৬০টি আসন বা তার বেশি পেতেই পারে।
मेरे अनुमान के मुताबिक आम आदमी पार्टी की 55 सीट आ रही हैं लेकिन अगर महिलाएं ज़ोर लगा दें - सभी वोट करने जायें और अपने घर के पुरुषों को भी आम आदमी पार्टी को वोट देने के लिए समझायें - तो 60 से ज़्यादा भी आ सकती हैं।
— Arvind Kejriwal (@ArvindKejriwal) February 3, 2025
কেজরিওয়াল নিজে কেন হঠাৎ মনে করলেন যে তাঁর দল এবার কম আসন পেতে পারে? রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, আপের বিরুদ্ধে বিশেষ করে কেজরিওয়াল এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের বিরুদ্ধে যেভাবে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে তাতে কিছুটা চাপ বেড়েছে তাঁদের। পাশাপাশি জোট শরিক কংগ্রেসের সঙ্গে তাঁদের প্রকাশ্য বাদানুবাদও একটা বড় ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া সদ্যই ৮ জন আপ বিধায়ক দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। তাঁদেরও অভিযোগ, আপ দুর্নীতির দল হয়ে গেছে আর অরবিন্দ তার মধ্যমণি। এটাও ভোটব্যাঙ্কে প্রভাব ফেলতে পারে।
সোমবারই এক জনসভা থেকে অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে তুলনা করে খোঁচা দিয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। তাঁর বক্তব্য, দুজনের মধ্যে বিশেষ তফাৎ নেই। বিগত ৫ বছরে আপ যে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তাও পূরণ হয়নি বলে অভিযোগ তাঁর। সব মিলিয়ে ভোটের মুখে কেজরিওয়াল যে ফলাফল নিয়ে পাহাড়-প্রমাণ চাপে রয়েছেন তা বলাই বাহুল্য।