মাত্র ২৩ মিনিট। এইটুকু সময়ের মধ্যেই পাকিস্তানের চিনা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে নাস্তানাবুদ করেছে ভারতীয় সেনা।
ফাইল ছবি
শেষ আপডেট: 15 May 2025 09:01
দ্য ওয়াল ব্যুরো: চিন যে পাকিস্তানের (China-Pakistan) কতটা কাছের তা আবারও প্রমাণ হয়ে গেছে। পহেলগাম হামলার বদলা নিতে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করেছে ভারত (Operation Sindoor)। তবে এই কাজ করতে শুধু পাক সেনার মোকাবিলা করতে হয়নি তাঁদের। করতে হয়েছে চিনা এয়ার ডিফেন্সেরও (Chinese Air Defence)। কারণ পাকিস্তানের আকাশের সুরক্ষা দেয় শি জিংপিং-এর সেনাই! যদিও এই লড়াইয়ে বেশি কাঠখড় পোড়াতে হয়নি ভারতীয় সেনাকে। মাত্র ২৩ মিনিটেই হয়েছে কেল্লাফতে।
হ্যাঁ। মাত্র ২৩ মিনিট। এইটুকু সময়ের মধ্যেই পাকিস্তানের চিনা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে নাস্তানাবুদ করেছে ভারতীয় সেনা। নিয়ন্ত্রণরেখা অতিক্রম না করেই ৯ জায়গায় হামলা করা হয়েছে এবং জঙ্গিঘাঁটি তো বটেই, খতম করা হয়েছে ১০০-র বেশি সন্ত্রাসবাদীকেও। পাকিস্তানের চিনা এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমকে কোথাও পাশ কাটিয়ে, কোথাও আবার অকেজো করে হামলা করতে সক্ষম হয়েছে ভারত। আর তাতেই চূড়ান্ত সফল হয়েছে 'অপারেশন সিঁদুর' অভিযান।
ভারতীয় সেনা এবং বিদেশমন্ত্রক আগেই জানিয়েছিল, তুরস্কের ড্রোন এবং চিনা মিসাইল দিয়ে ভারতের ওপর হামলার চেষ্টা করেছিল পাকিস্তান। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তারা পরাজিত হয়েছে। ভারতের মাটি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে চিনে তৈরি পিএল-১৫ মিসাইলের টুকরো, তুরস্কের ইউএভি ‘ইহা’ এবং একাধিক রকেট, কোয়াডকপ্টার ও ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ। এতেই প্রমাণিত হয় যে হামলা চালিয়েছিল পাকিস্তান। তবে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং রাশিয়ার এস-৪০০ থাকায় সেগুলিকে সহজে নষ্ট করা গেছে বলে জানিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।
একটি বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, পাকিস্তানের কোনও হামলাতেই ভারতের সম্পত্তি ধ্বংস হয়নি। বরং ভারত যে মিশন করতে চেয়েছিল তা ২৩ মিনিটেই সম্ভব হয়েছে তাও পাকিস্তানের আকাশে চিনা প্রতিরক্ষাকে পাশ কাটিয়ে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এও জানিয়েছে, 'অপারেশন সিঁদুর' মিশনের জন্য ‘লয়টারিং মিউনিশনস’ নামের একপ্রকার আত্মঘাতী ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছিল। যা নির্দিষ্ট এলাকায় পৌঁছে আকাশে বেশ কিছু ক্ষণ ঘুরে বেড়ায় এবং হামলার উপযুক্ত জায়গা চিহ্নিত করে।
পাকিস্তানের পাল্টা হামলা কীভাবে প্রতিরোধ করল ভারত? প্রতিরক্ষা মন্ত্রক বলছে, 'অপারেশন সিঁদুর' হলে এর যে পাল্টা প্রতিশোধ পাকিস্তান নিতে চাইবে তা জলের মতো পরিষ্কার ছিল। তাই দেশের স্থল, নৌ এবং বায়ু সেনা সর্বদা তৈরি ছিল। প্রযুক্তি, পরিকল্পনা এবং নজরদারির পারদর্শিতাতেই তা আটকানো সম্ভব হয়েছে।