শেষ আপডেট: 22nd November 2024 12:26
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মহারাষ্ট্রের এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকির খুনের মূল ষড়যন্ত্রকারী লরেন্স বিষ্ণোইয়ের ভাই আনমোল বলেই জানতে পেরেছে পুলিশ। এই ঘটনায় যুক্ত বাকি অভিযুক্তদের গ্রেফতার করার পর জেরা করে তার সম্পর্কে একাধিক তথ্যও হাতে পাওয়া গেছে। সেই প্রেক্ষিতেই পুলিশ জানতে পেরেছে, কীভাবে ভারতে থেকে আনমোলের সঙ্গে যোগাযোগ করত দুষ্কৃতীরা। কারণ সে তো দেশেই নেই।
কানাডা থেকে আনমোল পুরো বিষয়টি চালনা করেছে বলেই নিশ্চিত পুলিশ। তারপর সে সেখান থেকে পালিয়ে আমেরিকা গেছিল কিন্তু এখন গ্রেফতার হয়েছে মার্কিন মুলুকে। যদিও বাবা সিদ্দিকির হত্যার ঘটনায় নয়, জাল নথি নিয়ে ধরা পড়েছে আনমোল। এরই মধ্যে মুম্বই পুলিশ জেনেছে, হটস্পট এবং ওয়াই-ফাই ব্যবহার করে তার সঙ্গে যোগাযোগ করত সিদ্দিকি খুনে জড়িতরা।
আকাশদীপ গিল নামের এক অভিযুক্তকে জেরা করে পুলিশ। সে জানিয়েছে, যে ফার্মে সে কাজ করত সেখানকার এক শ্রমিকের ফোনের হটস্পট ব্যবহার করে সে আনমোলের সঙ্গে যোগাযোগ করত। শুধু তাই নয়, এই ঘটনায় আরও যারা অভিযুক্ত রয়েছে, তাদের সঙ্গেও একই ভাবে যোগাযোগ রাখত সে। সরাসরি ফোন বা মেসেজ করত না। এমনকী তার লোকেশন যাতে ধরা না পড়ে সে কারণে নিজের ফোন 'ফ্লাইট মোড' করে রাখত আকাশদীপ।
একন পর্যন্ত আকাশের মোবাইল ফোন খুঁজে পায়নি পুলিশ। মনে করা হচ্ছে, সে ফোন পেলে তা থেকে আরও একাধিক তথ্য বেরিয়ে আসবে। ঘটনার দিন পর্যন্ত আর কাকে কাকে সে ফোন করেছিল, কোনও টাকার লেনদেন হয়েছিল কিনা, সব তথ্যই জানা যাবে। আকাশকে নিয়ে ইতিমধ্যে ২৪ জন গ্রেফতার হয়েছে এই ঘটনায়। মূল শুটারদের বন্দুক সরবরাহ করেছিল সে।
ইতিমধ্যে পুলিশ জানতে পেরেছে, সলমন খানের বাড়ির সামনে গুলি চলার ঘটনার মাত্র ১০ দিনের পরই বাবা সিদ্দিকিকে খুনের ছক কষে আততায়ীরা। সলমনের বাড়ির সামনে কয়েক রাউন্ড গুলি চলার ঘটনার পরই ঠিক করা হয়, সলমনের ঘনিষ্ঠ কাউকে টার্গেট করা হবে। তারপরই উঠে আসে বাবা সিদ্দিকির নাম।
লরেন্স বিষ্ণোইয়ের ভাই আনমোল বিষ্ণোই 'ডাব্বা কলিং' নামের একটি অবৈধ টেলিফোন এক্সচেঞ্জ সিস্টেম ব্যবহার করত বলে উঠে এসেছে তদন্তে। এই ডাব্বা কলিংয়ের মাধ্যমেই আনমোল শিব কুমার গৌতম, জিশান আখতার, শুভম লংকার, সুজিত সিংদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত এবং হুমকি দেওয়ার কাজ করত।