গোয়েন্দা সূত্রে জঙ্গিদের গতিবিধি, কার্যকলাপ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার পরই তাঁরা অভিযান শুরু করেন।
ফাইল ছবি
শেষ আপডেট: 16 May 2025 17:10
দ্য ওয়াল ব্যুরো: পহেলগামে জঙ্গিহানার ঘটনার পর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে 'অপারেশন সিঁদুর' (Operation Sindoor) অভিযান করে ভারত। তা চূড়ান্ত সফল। কিন্তু জম্মু-কাশ্মীরে লুকিয়ে থাকা সন্ত্রাসবাদীদের ধরতে বা নিকেশ করতে আরও বেশি কিছু দরকার ছিল। আর তাই জঙ্গিনিধনে প্রথমে 'অপারেশন কেল্লার' (Operation Keller) এবং পরে 'অপারেশন নাদের' (Operation Nader) অভিযান করে ভারতীয় সেনা। এই দুটিও ব্যাপকভাবে সফলতা পেয়েছে। ৪৮ ঘণ্টায় ৬ জঙ্গি মেরেছে নিরাপত্তাবাহিনী (Indian Army)। কীভাবে এল এই সাফল্য, তাও ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ এবং ভারতীয় সেনার যৌথ অভিযানে প্রথমে সোপিয়ানে ৩ লস্কর জঙ্গি এবং পরে পুলওয়ামার ত্রালে ৩ জইশ জঙ্গিকে খতম করা হয়। দুই জায়গায় অভিযান হয়েছিল মাত্র ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে। ভারতীয় সেনা জানিয়েছে, সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতেই এই দুটি অভিযান করা হয়েছিল। তাতেই সাফল্য এসেছে। তবে কোনও অভিযানই এখনও শেষ হয়নি, চলছে বলে জানান হয়েছে।
সেনা, পুলিশের পাশাপাশি এই দুটি অভিযানে সমান তালে যুক্ত ছিল সিআরপিএফ-ও। জানা গেছে, গোয়েন্দা সূত্রে জঙ্গিদের গতিবিধি, কার্যকলাপ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার পরই তাঁরা অভিযান শুরু করেন। সর্বপ্রথম পোক্ত প্রমাণ জোগাড় করা হয় যে, জঙ্গিরা ঠিক কোথায় আছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই প্রথমে সোপিয়ানের জঙ্গলে শুরু হয় 'অপারেশন কেল্লার'। তাতে নিকেশ হয় শাহিদ কুট্টে, আদনান শফি দার, এহসান আহমেদ শেখ নামের তিন লস্কর জঙ্গি। গত মঙ্গলবার হয়েছিল এই অভিযান।
এরপর বৃহস্পতিবার সকালে পুলওয়ামার ত্রালে সেনা করে 'অপারেশন নাদের' অভিযান। তাতে আসিফ আহমেদ শেখ, আমির নাজির ওয়ানি এবং ইয়াওয়ার আহমেদ ভাট নামে তিন জইশ জঙ্গি নিধন হয়।
পরপর এতগুলি অভিযান সফল হওয়ায় প্রতিরক্ষা বাজেটের কোষাগারে নতুন আর্থিক শক্তিবৃদ্ধি করার কথা ভাবা হয়েছে ইতিমধ্যেই। বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ করা হবে আরও নতুন নতুন অস্ত্র-গোলাবারুদ কিনতে। সেই সঙ্গে বাড়ানো হবে রণকুশলী প্রযুক্তিও।
প্রতিরক্ষা বাজেটকে আরও মজবুত করে তুলতে ৫০,০০০ কোটি টাকা অতিরিক্ত বরাদ্দের জন্য একটি অতিরিক্ত বাজেট প্রস্তাব আনার প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। সংসদের আগামী শীতকালীন অধিবেশনেই এই প্রস্তাব গ্রহণ ও পাশ করানো হতে পারে বলে সরকারি সূত্র জানিয়েছে।