শেষ আপডেট: 27th July 2024 11:36
দ্য ওয়াল ব্যুরো: পথচলতি মানুষের কাছে গিয়ে তাদের সুখ-দুঃখের কথা শুনে থাকেন রাহুল গান্ধী। কখনও গাড়ি থেকে নেমে সটান চলে গিয়েছেন মাঠে থাকা কৃষকদের মাঝে। কখনও রেল স্টেশনে গিয়ে শুনেছেন কুলিদের কথা। এবার শুনলেন এক চর্মকারের কথা। তাঁর মুখ থেকে শুনলেন, কীভাবে ছেঁড়া জুতো সেলাই করা হয়। কীভাবে তৈরি হয় নতুন জুতো। শুনলেন, দিনে রোজগার কত, সংসার চলে কীভাবে, ইত্যাদি খুটিনাটি বিষয়ে।
শুক্রবার লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী গিয়েছিলেন উত্তর প্রদেশের সুলতানপুরে। সেখানে স্থানীয় আদালতে হাজির হতে হয় তাঁকে। ভাষণে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের মানহানি করেছেন বলে মামলা করেন স্থানীয় বিজেপি নেতা। রাহুলের বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের হয়েছিল ২০১৮ সালে। কংগ্রেস সুত্রের খবর, প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতির বিরুদ্ধে মোট ২৬টি মানহানির মামলা দায়ের করেছে পদ্ম শিবিরের নেতারা।
রাহুলের উপস্থিতিতে তাঁর আইনজীবী বলেন, অমিত শাহ সম্পর্কে যে মন্তব্য কংগ্রেস নেতা করেছেন তা মোটেই মানহানিকর নয়। বিচারক নির্দেশ দেন, আগামী ৭ অগাস্ট মামলাকারীর বক্তব্য শোনা হবে।
রাহুল দিল্লি থেকে বিমানে লখনউ গিয়ে সেখান থেকে গাড়িতে সুলতানপুর যান। একই পথে ফেরেন। ফেরার সময় সুলতানপুরের গুপ্তার এলাকার বিধায়কনগরে রাম ছেটের দোকানের সামনে গাড়ি থেকে নেমে পড়েন সনিয়া পুত্র। পথের ধারে জুতো সারাই ও তৈরির ছোট দোকান বছর চল্লিশের রাম ছেটের।
তাঁর দোকানে বেশ কিছুক্ষণ কাটান রাহুল। দেখেন কীভাবে জুতো সেলাই করা হয়। জানতে চান জুতো সেলাই করে দিনে কত রোজগার হয়, পরিবারে ক'জন আছেন, সংসার কীভাবে চলছে ইত্যাদি।
সুলতানপুরের লাগোয়া এলাকা হল রাহুলের সংসদীয় এলাকা রায়বেরলি। দু জায়গাতেই রাহুল গাড়ি থেকে নেমে স্থানীয় মানুষের সঙ্গে কথা বলেন।
পরে রাম ছেট বলেন, উনি আসায় আমি খুব খুশি হয়েছি। আমার মতো মানুষের দুঃখ-দুর্দশার কথা কেউ তো শুনতে চায়নি। এর আগে সুলতানপুরের আদালত চত্বরে দাঁড়িয়ে রাহুল অভিযোগ করেন, রাজনৈতিক উদ্দেশে তাঁর বিরুদ্ধে মানহানির বানানো অভিযোগে মামলা দায়ের করা হচ্ছে।