শেষ আপডেট: 7th January 2025 22:13
দ্য ওয়াল ব্যুরো: প্রযুক্তি দিয়ে কত কিছুই করা সম্ভব। কিন্তু কৃষিক্ষেত্রে এআই ব্যবহার করে রাতারাতি পুরো সিস্টেমকে বদলে দেওয়া খুব একটা মুখের কথা নয়। কিন্তু মহারাষ্ট্রের চাষিরা প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়েই কৃষিকাজে রীতিমতো বিপ্লব এনেছেন। একটা ছোট্ট সফটওয়্যারেই কঠিন কাজ চোখের নিমেষে হয়ে যাচ্ছে।
মহারাষ্ট্রের বারামতি জেলায় আখ চাষিরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্য নিয়ে নিজেদের ফসলের ফলন ও উৎপাদন কয়েক গুণ বাড়িয়েছেন। এই জেলা দেশের বৃহত্তম আখ উৎপাদনকারী হিসেবে বরাবর পরিচিত।
সেখানকার একাধিক চাষিরাই এখন মাইক্রোসফট এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করছেন। বেশিরভাগ সময় ফসল বাঁচাতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হত তাঁদের। কখনও অতিবৃষ্টি বা কখনও পোকার উপদ্রব হাজারো ঝামেলা লেগেই ছিল। কিন্তু বর্তমানে বারামতির এগ্ৰিকালচারাল ডেভেলপমেন্টের সহায়তায় ও মাইক্রোসফটের এআই টেকনোলজি ব্যবহার করে রাতারাতি লাভের মুখ দেখতে শুরু করেছেন চাষিরা।
স্থানীয় এক আখ চাষি জগতাপের চাষের জমিতেই একটি পাওয়ার স্টেশন তৈরি করা হয়েছে। তিনি এবং তাঁর ছেলে বাড়িতেই একটি 'ভবিষ্যতের খামার' তৈরি করেছেন। সেখানেই চাষিরা তাঁদের সমস্যার কথা জানান। পাওয়ার স্টেশন থেকে সেন্সরের মাধ্যমে রিপোর্ট নিয়ে চাষিদের ঠিক কি কি করা উচিত সবটাই মোবাইলে জানিয়ে দেওয়া হয়। শুধু Agripilot.ai নামে একটি অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে। সেখানে ভাষা নির্ধারণ করলেই আর কোনও সমস্যা নেই। জমির ফসল বাঁচাতে কোন সময় কি করতে হবে সব খুঁটিনাটি বলে দেবে অ্যাপটি।
চাষিরা জানিয়েছেন, মাত্র ছ'মাসের মধ্যেই পরিবর্তন চোখে পড়েছে। আগের থেকে ফলন ও গাছের মান সবটাই বেড়েছে। ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাস থেকে প্রযুক্তি ব্যবহার করে আখ ও টমোটোর ফলনের হার আগের তুলনায় কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
ইতিমধ্যে প্রায় ২০ হাজার কৃষক মোবাইলে অ্যাপটি ইনস্টল করেছেন। প্রথমেই হাজার জনকে বেছে নেওয়া হয়। তাঁদের মধ্যে প্রায় ২০০ জন কৃষক ২০২৪ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে ফসল রোপণ শুরু করেন। ৬ মাস পর সেই ফলন আগের তুলনায় ছয় গুণ বেড়েছে বলে জানা গেছে।
সফটওয়্যারটি স্যাটেলাইট ও সেন্সরের মাধ্যমে আবহাওয়া, মাটি এবং অন্যান্য কৃষি সম্পর্কিত তথ্য অ্যাজিওর (Azure) ডেটা ম্যানেজার নামে একটি প্ল্যাটফর্মের মধ্যে দিয়ে বিশেষজ্ঞদের কাছে পৌঁছে যায়। তাঁরা কম্পিউটারে ক্লিক করলেই সমস্ত তথ্য পেয়ে যান এবং কি করা উচিত তা চাষিদের বলে দেন।