শেষ আপডেট: 3rd December 2024 08:43
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ত্রিপুরার হোটেলগুলিতে বাংলাদেশিদের জায়গা হবে না। উত্তর পূর্ব ভরতের ওই রাজ্যের হোটেল মালিকদের সংগঠন অল ত্রিপুরা হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন সিদ্ধান্ত করেছে, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর নিপীড়ন, নির্যাতন বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশের নাগরিকদের ত্রিপুরার হোটেলে থাকতে দেওয়া হবে না। অ্যাসোসিয়েশন সংখ্যালঘুদের উপর হামলা, নির্যাতনের তীব্র নিন্দা করেছে।
এদিকে, ত্রিপুরাতেই বাংলাদেশের সরকারী হাই কমিশন অফিসে হামলার ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রক। ভারত সরকার বলেছে, এই ধরনের হামলা নিন্দনীয় কাজ।
সেখানে একদল লোক সহকারী হাই কমিশন অফিসে ঢুকে ভাঙচুর চালায় এবং বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা নামিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। গত সপ্তাহে কলকাতায় বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশন অফিসের বাইরে বাংলাদেশের পতাকা এবং প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুসের প্রতিকৃতি পোড়ানোর অভিযোগ উঠেছিল।
কলকাতার ঘটনার মতো আগরতলার দূতাবাস অফিসে হামলা নিয়েও তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রক বলেছে, দূতাবাস অফিসে হামলা কখনই সমর্থন যোগ্য নয়।
এদিকে, ত্রিপুরার হোটেলে বাংলাদেশিদের থাকতে না দেওয়ার সিদ্ধান্তে সে দেশের নাগরিকেরা বড় ধরনের সমস্যার মুখে পড়বেন বলে মনে করা হচ্ছে। বাংলাদেশের উত্তর ও চট্টগ্রাম-সহ পূর্ব পান্তের জেলাগুলির মানুষ ত্রিপুরা হয়ে ভারতে আসেন। সেখান থেকে কলকাতা, দিল্লি-সহ ভারতে বিভিন্ন শহরে যাতায়াতের বিমান ভাড়াও কম। ট্রেন এবং বিমানের জন্যও আগরতলার হোটেলে থাকতে হয়। বস্তুত বাংলাদেশিরা আগরতলার হোটেল ও রেস্তরাঁর গ্রাহকদের বড় অংশ। আগরতলার সোনারতরি হোটেলে অবস্থিত বৈঠকে হোটেল অ্যাসোসিয়েশনের বৈঠকের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, আমরা ধর্মনিরপেক্ষ দেশ। আমরা বাংলাদেশিদের সমাদর করি। কিন্তু সে দেশের কিছু নাগরিক যেভাবে হিন্দুদের উপর নিপীড়ন, নির্যাতন করছি তাতে আপাতত বাংলাদেশের নাগরিকদের আমরা কোনও ধরনের হোটেল পরিষেবা দিতে পারছি না। তবে একটি মহলের বক্তব্য, ভারত সরকার গত ৫ অগাস্ট থেকে বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া একপ্রকার বন্ধ রেখেছে। ফলে বাংলাদেশিরা আসছেন না। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশিদের থাকতে না দেওয়ার সিদ্ধান্তে বড় ধরনের ব্যবসায়িক ক্ষতির আশঙ্কা নেই।
এর আগে কলকাতার একটি হাসপাতাল বাংলাদেশিদের চিকিৎসা না দেওয়ার কথা ঘোষণা করে। যদিও ওই সিদ্ধান্তের সঙ্গে চিকিৎসক মহলের অনেকেই সহমত নয়। তাদের বক্তব্য, চিকিৎসক, চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান কোনও অবস্থাতেই কাউকে চিকিৎসা না দেওয়ার কথা বলতে পারে না।